নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে হবে। কিছু সময় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এর জন্য দরকার সবার ঐক্য।

তিনি আরও বলেন, পুরো পৃথিবী থেকে ভারতে ভ্রমণকারীর সংখ্যার মধ্যে বাংলাদেশিদের অবস্থান দ্বিতীয়। এ খাত থেকে অর্থনৈতিকভাবে প্রতিবেশী দেশটি বিশাল লাভবান হয়। ভারতের অপতথ্য প্রচারে আমাদের কোনো ক্ষতি নেই। আমাদের এখানে চিকিৎসা ও বাজার সবই আছে। আমাদের মধ্যে মেজরিটি-মাইনরিটি কোনো বিভাজন নেই। এখানে সব ধর্মের মানুষ বসবাস করছেন।

কোনো ধরনের উসকানিতে কান না দিতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ঐতিহাসিকভাবে এক আছি।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে যশোরের বেনাপোল কার্গো ইয়ার্ড ও ইমিগ্রেশন পরিদর্শন শেষে এম সাখাওয়াত হোসেন এসব কথা বলেন।

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, বিজিবি দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির, যশোর-৪৯ বিজিবির সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ ছিদ্দিকি, বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্পের সুবেদার মামুন শিকদার, বেনাপোল কাস্টমসের অ্যাডিশনাল কমিশনার এইচ এম শরিফুল হাসান, শার্শা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ড. কাজী নাজিব হাসান, শার্শা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ইয়াসমিন, নাভারণ সার্কেলের এএসপি নিশাত আল নাহিয়ান, বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন তরফদার, বেনাপোল পোর্ট থানা অফিসার ইনচার্জ রাসেল মিয়া, বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি ইমতিয়াজ আহসানুল কাদের ভূঞা, আইসিপি ক্যাপের নায়েক সুবেদার ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমি গতবার কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল উদ্বোধন করে গিয়েছিলাম, কিন্তু বন্দরের কিছু সমস্যা ছিল যেমন স্ক্যানার মেরামত করতে বলছিলাম এবং আরও অন্যান্য বিষয়ের কাজ দিয়েছিলাম। তাই সেগুলো সচল আছে কি না এবং বন্দরের বাণিজ্য বন্ধ আছে কি না সার্বিক বিষয় ঘুরে দেখলাম।

বন্দর পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ আব্দুলাহর কবর জিয়ারত করেন এবং পরিবারের খোঁজখবর নিতে তার বাড়িতে যান।

এমজেইউ