বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, শেখ হাসিনা জেলায় জেলায় সন্ত্রাসের গডফাদার তৈরি করেছিল। নাটোরে অবৈধ এমপি শিমুল (শফিকুল ইসলাম শিমুল) আর সিংড়ায় ফাইভস্টার বাহিনীর জনক পলককে (জুনাইদ আহমেদ পলক) তৈরি করেছে। তাদের কাজই ছিল বিএনপির সিনিয়র নেতাদের ওপর হামলা করা। তারা সিংড়ার সাবেক এমপি কাজী গোলাম মোর্শেদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সিংড়া কোর্ট মাঠে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, পলকের সন্ত্রাসী বাহিনীকে সিংড়ায় আবারও নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি বলে দিতে চাই, তাদেরকে বিএনপির যেসব নেতা টাকা খেয়ে আসার সুযোগ করে দেবে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পলক আজ ৪০ হাজার কোটি টাকার মালিক। অথচ বিএনপির সাবেক এমপি-মন্ত্রীরা খেতে পায় না। আওয়ামী লীগের লোকজন ভোট ছাড়া এমপি হয়ে দুর্নীতি করে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। এই টাকা সিংড়ার জনগণের টাকা। এই টাকার মালিক বাংলার সাধারণ জনগণ।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করলে আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে। বাংলাদেশের ফেরাউন-নমরুদ হচ্ছে শেখ হাসিনার দোসররা। তাদের ক্ষমা করা যাবে না। বাংলাদেশে তারা এত অন্যায়, জুলুম ও অত্যাচার করেছে যে তাদের নামও কেউ মুখে মুখে নিতে চায় না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের রক্ত, মাংস ও অস্থিতে ফ্যাসিজম মিশে আছে। জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে প্রায় দুই হাজার মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। শুধু হাসিনার ইতিহাসই হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস নয়, স্বাধীনতা পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ মুজিবুর রহমানও হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল। একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েম করার চেষ্টা চালিয়েছিল। শেখ মুজিব চারটি পত্রিকা বাদে দেশের সকল পত্রিকা নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু ইতিহাসের পথপরিক্রমায় আজ আওয়ামী লীগের রাজনীতিই বাংলার মাটিতে অঘোষিতভাবে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিংড়ার সাবেক এমপি অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ বলেন, বিএনপির ৩১ দফা বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হিসেবে কাজ করছে। কারণ এটি তাদের মৌলিক চাহিদাগুলোকে গুরুত্ব দিয়েছে। ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশে একটি ন্যায়সংগত, স্বচ্ছ এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

সমাবেশে সিংড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন নাটোর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, নাটোর পৌরসভার সাবেক মেয়র শেখ এমদাদুল হক আল মামুন, জেলা যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।

গোলাম রাব্বানী/এমজেইউ