নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ডুবচরে আটকে পড়া জীবিত তিমি জেলেরা মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার তমরুদ্দি ইউনিয়নের চর আতাউর এলাকার মেঘনা নদীতে তিমিটি ভাসিয়ে দেন। এসময় বিশাল তিমিটি দেখার জন্য ভিড় করেন উৎসুক জনতা। দেখার পাশাপাশি তারা ছবিও তোলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. রানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোরের দিকে জোয়ারের পানির সঙ্গে বিশাল আকৃতির একটি তিমি হাতিয়ার মূল ভূখণ্ডের কয়েক কিলোমিটার দূরে জেগে ওঠা চর আতাউরের পলিতে আটকা পড়ে। পরে দুপুরের দিকে এক দল জেলে ওই এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে দূর থেকে বড় কিছু একটা আটকা পড়েছে দেখতে পান। পরে জেলেরা কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় তিমির লেজের দিকে ও মাথার দিকে দড়ি বেঁধে টেনে সেটিকে নদীর পানিতে ছেড়ে দেন।

মো. মিরাজ নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা শুনেছি বেশ কয়েক বছর আগে হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ এলাকাতেও একটি তিমি নতুন চরের পলিতে আটকা পড়েছিল। এরপর আর কখনো এরকম ঘটনা ঘটেনি। চরের পলিতে বেশ কয়েক ঘণ্টা আটকা থাকলেও প্রাণীটি জীবিত ছিল। দুপুরের দিকে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের নজরে পড়লে তারা অনেক কষ্টে সেটিকে নদীতে টেনে নামিয়ে ছেড়ে দেন।

হাতিয়া কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার মো. খালিছুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিমিটি প্রায় ৫০ মণের মতো ওজনের হবে। মনে হয় দলছুট হয়ে ছোট নদীতে চলে এসেছে। বারবার নদীতে নামিয়ে দেওয়ার পরও এটি পুনরায় তীরে উঠে যায়। পরে গভীর পানিতে নামিয়ে দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে রাতে জোয়ারে তিমিটি এখানে এসে আটকা পড়েছিল।

হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে খাবারের খোঁজে তিমিটি গভীর সমুদ্র থেকে নদীতে চলে এসেছে। এরপর জোয়ারের পানির তোড়ে সেটি নদীতে জেগে ওঠা নতুন চরের পলিতে আটকা পড়ে। এরই মধ্যে ভাটা শুরু হওয়ায় আর নদীতে নামতে পারেনি তিমিটি। আটকে পড়া তিমিটিকে স্থানীয় জেলেরা নদীতে ছেড়ে দিয়েছেন।

তবে সেটি কোনো প্রজাতির তিমি সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি তারা।

হাসিব আল আমিন/এসএসএইচ