রাজবাড়ীতে ১ কেজি করে পেঁয়াজের বীজ পাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা
সরকারের পক্ষ থেকে নতুন করে পেঁয়াজের বীজ পেতে যাচ্ছেন রাজবাড়ীর ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার পেঁয়াজ চাষি। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বীজ প্রত্যায়ক কর্মকর্তা মো. মাজিদুর রহমান।
তিনি বলেন, বিএডিসি থেকে কৃষকদের দেওয়া বিনামূল্যে বিতরণকৃত পিঁয়াজের বীজ থেকে চারা গজায়নি। এরপর গঠিত হয় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির সুপারিশে সত্যতা মেলে নষ্ট বীজের। আমরা তদন্ত করে মাঠ পর্যায়ে নষ্ট বীজের বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছিলাম। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নতুন করে পুনরায় বীজ বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। এরপর সিদ্ধান্ত হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ১ কেজি করে বীজ পুনরায় দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে রাজবাড়ীর কৃষি বিভাগ বারি ফোর, তাহেরপুরি ও বারি এক জাতের বীজের জন্য বিএডিসিকে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। নভেম্বরে জেলার ৪ হাজার কৃষকের মাঝে ১ কেজি করে এসব বীজ বিতরণ করা হয়। বীজতলায় বীজ রোপণের ২০ দিন অতিবাহিত হলেও বীজে অঙ্কুরোদগম হয়নি। এতে বিপাকে পড়েন জেলার পেঁয়াজ চাষিরা। দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয় অবস্থান রাজবাড়ী হলেও পেঁয়াজের আবাদে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে শঙ্কা তৈরি হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বলছেন, এখন পেঁয়াজের বীজ দিলে তেমন লাভ হবে না। বীজতলা থেকে চারা উঠতে ৩০ থেকে ৪০ দিনের মতো সময় লাগে। সেই চারা দিয়ে পেঁয়াজ হবে বলে মনে হয় না। অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে বীজ নিবেন কিন্তু জমিতে লাগাবে কিনা সন্দেহ আছে। তবে কৃষি বিভাগ কঠিন পরিশ্রম করলে ফল পাওয়া সম্ভব হতে পারে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, আগামী রোববার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বীজ বিতরণ শুরু হবে। তবে এবার বিএডিসির বীজ দেওয়া হচ্ছে না। আমরা লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কৃষকদের পাশে আছি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি কৃষকদের পাশে থাকার। বীজ নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব স্যারের সঙ্গে সভা হয়েছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত সব কৃষক ১ কেজি করে পেঁয়াজের বীজ পাবেন।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এএমকে