বাবাকে না পেয়ে অস্ত্র মামলায় কিশোর ছেলে তাউসিফুল করিম রাফিকে (১৫) গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। সেই স্কুলছাত্র রাফি জামিন পেয়েছে। 

কারাগারে যাওয়ার ৯ দিন পর আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের বিচারক জিল্লুর রহমান তার জামিন মঞ্জুর করেন। 

ভুক্তভোগী তাউসিফুল করিম রাফি টেকনাফ হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র এবং টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দরগাহ পাড়া গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে।

গত ২৬ নভেম্বর ভোররাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের বাড়িতে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালায়।

পুলিশের দাবি, অভিযানের সময় রেজাউল করিম পালিয়ে যান। তখন তার সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে রাফিকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর থেকে কারাগারে ছিল সে। ঘটনার ৩দিন পর পরিবার বিষয়টি প্রতিবেদককে জানালে ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশ হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচনার ঝড় ওঠে। বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।

রাফির বাবা রেজাউল করিম বলেন, গতকাল জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাদের ডাকেন। আজ সকাল কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের বিচারক জিল্লুর রহমান জামিন মঞ্জুর করেন। আমরা এখনো আতঙ্কে আছি। জানি না আমার ছোট্ট ছেলেটা এই ট্রমা থেকে কখন বের হতে পারবে।

রাফির আইনজীবী আয়াসুল রহমান বলেন, রাফি শিশু হওয়ায় আদালত জামিন দিয়েছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে রাফি কারাগার থেকে মুক্তি পাবে।

প্রসঙ্গত, বাবাকে না পেয়ে কিশোর ছেলেকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে। ‘বাবাকে ক্রসফায়ার দেওয়া হবে’ এমন ভয় দেখিয়ে ওই কিশোরের কাছ থেকে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে পরিবার। 

সাইদুল ইসলাম ফরহাদ/আরকে