ঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামায় বিপর্যয় ঘটছে। রানওয়ে কুয়াশায় ঢাকা পড়ায় বেসরকারি বিমান সংস্থার দুটি ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে অবতরণ করতে পারেনি। এতে ওই দুই ফ্লাইটের ঢাকাগামী শতাধিক যাত্রী আটকা পড়েছেন বলে জানা গেছে। তবে ফ্লাইট বাতিলের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা পর্যন্ত বিমানবন্দরের রানওয়েতে কোনো বিমান অবতরণ করেনি। সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক এ কে এম বাহাউদ্দিন জাকারিয়া ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ৮টায় বেসরকারি বিমান সংস্থা নভোএয়ারের একটি ও এয়ার অ্যাস্টার একটি ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণের কথা থাকলেও নামতে পারেনি। রানওয়েতে উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য কমপক্ষে দুই হাজার মিটার ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) থাকতে হয়। বর্তমানে ১২০০ মিটার দৃষ্টিসীমা বিরাজ করছে। আকাশ পরিষ্কার হলে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। শীতের এ সময় বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রায় এমনটি ঘটে। তবে কোনো ফ্লাইট বাতিলের কোনো সম্ভাবনা নেই।

বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরের জেলা নীলফামারীতে ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রার পারদ কমছে। আজ সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দৃষ্টিসীমা ছিল ২০০ মিটার। উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য কমপক্ষে ২০০০ মিটার ভিজিবিলিটির প্রয়োজন হয়।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মঙ্গলবার ভোর থেকে ওই এলাকা কুয়াশায় ঢেকে আছে। বিমান চলাচলের জন্য কমপক্ষে দুই হাজার মিটার ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) থাকার কথা থাকলেও সেখানে বর্তমানে (সকাল ১১টা) ১২০০ মিটার ভিজিবিলিটি রয়েছে। ফলে বিমান চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে।

প্রতিদিন সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে গড়ে ১৫ থেকে ১৬টি ফ্লাইট পরিচালিত হয়। এর মধ্যে দুপুর ১২টার আগে ৩টি ফ্লাইট চলাচল করে। শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে প্রায়ই বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

শরিফুল ইসলাম/আরকে