ময়মনসিংহে কনস্টেবল নিয়োগে ১৪৯ তরুণ-তরুণী সুপারিশপ্রাপ্ত
ময়মনসিংহে কঠোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে মাত্র ১২০ টাকার আবেদনে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে ১৪৯ জন তরুণ-তরুণী নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। বর্তমানে সুপারিশপ্রাপ্তদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ভেরিফিকেশন কার্যক্রম চলছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আজিজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় জেলা পুলিশ লাইন্সের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সুপার (এসপি) মুন্সী কবির উদ্দিন আহমেদ মাল্টিপারপাস শেডে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্তদের নাম ও ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এ সময় নিয়োগ কার্যক্রমের সকল ইভেন্টে কৃতকার্যদের লিখিত, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এতে সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানান, জেলায় শূন্য পদের বিপরীতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগে আবেদনকারীদের মধ্যে প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং শেষে ৯ হাজার ৪৫৭ জন প্রার্থী শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। এ থেকে শারীরিক সক্ষমতা যাচাই শেষে ২ হাজার ১০৬ জন লিখিত পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেন এবং সর্বশেষ লিখিত পরীক্ষায় ৭৮৯ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্য থেকে জেলার টিআরসি নিয়োগ বোর্ড কর্তৃক ১৪৯ জন পরীক্ষার্থী চূড়ান্তভাবে মনোনীত হন।
নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আজিজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, ‘সেবার ব্রতে চাকরি’ স্লোগানে অনুপ্রাণিত হয়ে চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত ১৪৯ জনের মধ্যে ১৩২ জন তরুণ এবং তরুণী রয়েছে ১৭ জন। এতে মেধাক্রমে ১৪১ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় ৭ জন এবং ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠী কোটায় ১ জন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কঠোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেই এই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করছি তারা সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দেশসেবার মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কাজ করবে।
আনুষ্ঠানিকভাবে সুপারিশপ্রাপ্তদের নাম ও ফলাফল ঘোষণা করার সময় নিয়োগ বোর্ডের সদস্যবৃন্দ, জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, চাকরি প্রার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
আমান উল্লাহ আকন্দ/আরএআর