পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার তোড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুখ্যাতি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তৌহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ওইদিন বিকেলে পঞ্চগড় আমলি আদালত ৫-এর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু হেনা সিদ্দিকীর আদালতে তোলার পর তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়।

গত ২১ নভেম্বর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর এলাকার বাসিন্দা ও ভ্যানচালক ফারুক বাদী হয়ে আটোয়ারী থানায় মারধর, চাঁদাবাজি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে ২২ জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আটোয়ারী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলামকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আটোয়ারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে মামলার বাদী ও কয়েকজন সাক্ষী বাড়ি থেকে আটোয়ারী উপজেলা শহরের উদ্দেশ্যে বের হন। পরে মামলার আসামিরা তাদের পথরোধ করে কিল-ঘুষি ও চড় থাপ্পড় মেরে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এর আগে ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে মামলার বাদী ও সাক্ষীরা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পানবারা বাজারের পশ্চিম পাশে সড়কের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় মামলার আসামিরা বাদীসহ সাক্ষীদের বিএনপি নেতাকর্মী দাবি করে লাঠি, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পথরোধ করেন। এ সময় বাদীসহ অন্যদের কাছে টাকায় আদায় করে মাটিতে পুঁতে রাখার হুমকি দেন আসামিরা।একপর্যায়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আসামিরা। এ সময় বাদীর কোমরে থাকা ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় আসামিরা। পরে বাদীসহ অন্যদের এলোপাতাড়ি মারধর করে মাটিতে ফেলে রাখা হয়। এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় মামলার বাদীসহ অন্যরা স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে আত্মগোপনে থাকেন।

এ বিষয়ে আটোয়ারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোক্তারুল আলম বলেন, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এসকে দোয়েল/আরকে