শেরপুরে সেনাসদস্য ওয়াসিম আকরামকে (২৬) হত্যার ঘটনায় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে নিহতের ভাই মো. জসিম মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলায় ওয়াসিম আকরামের চাচাতো ভাই রঞ্জুকে প্রধান আসামি করে ২১ জনের নাম উল্লেখ করা আছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ১০–১২ জনসহ মোট ৩৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম খান।

নিহত ওয়াসিম আকরাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ বীর, সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার চরশেরপুর নিজপাড়া গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মো. ময়না মিয়া (৩৫), একই গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বাসেদ মিয়া (২২), মৃত কালু খাঁনের ছেলে মো. আলম খাঁন (৫৫), জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী মোছা. কমলা আক্তার (৩৫), পার্শ্ববর্তী চরশেরপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মো. আনছার আলীর স্ত্রী মোছা. হালিমা খাতুন (৫৫), একই গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে মো. আজিম আলী (৩৬) ও নয়াপাড়া গ্রামের মো. সাহেব আলীর ছেলে মো. শামীম আহম্মেদ (২৮)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তারেক হাসান জানান, সেনাসদস্য ওয়াসিম আকরাম হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মো. ময়না মিয়া ও মো. বাসেদ মিয়াকে পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালতের বিচারক ইকবাল মাহমুদ আগামী ৯ ডিসেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে সব আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার সকালে সদর উপজেলার চরশেরপুর নিজপাড়া গ্রামের কৃষক আবুল হাসানের ছেলে সেনাসদস্য ওয়াসিম আকরাম ধান কেটে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তারই চাচাতো ভাই রঞ্জুর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ রয়েছে।

মো. নাইমুর রহমান তালুকদার/এমজেইউ