মানিকগঞ্জে জামায়াত নেতাকে মারধরের ঘটনায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় জামায়াত নেতা মাওলানা মো. সোলাইমানকে মারধরের ঘটনায় তাইজুদ্দিন নামের এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আমান উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগীর স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চর কৃষ্ণপুর তাজবিদুল কুরআন হাফিজিয়া এতিমখানা মাদরাসায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মাহফিলের প্রধান বক্তা ইয়াহইয়া তাকী ইসকনের কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় বক্তাকে বাধা দেন মাহফিলের সভাপতি ও ইউপি সদস্য তাইজুদ্দিন। এ নিয়ে মাহফিলে হট্টগোল বাঁধে। এর জেরে পরদিন ১ ডিসেম্বর ওই ইউনিয়নের চর কৃষ্ণপুর এলাকার আন নুর তাহফিজুল কুরআন মহিলা মাদরাসার ভেতরে প্রবেশ করে মাদরাসার অধ্যক্ষ ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মাওলানা মো. সোলাইমানকে মারধর করেন ইউপি সদস্যসহ ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তি। এতে অধ্যক্ষ গুরুতর আহত হন। এ সময় মাদরাসার অফিস কক্ষ থেকে পাঁচ হাজার ২৫০ টাকা চুরি করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে মাদরাসার অধ্যক্ষকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় হামলাকারীরা। এরপর স্থানীয়রা আহত অবস্থায় জামায়াত নেতাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনার পর জামায়াত নেতার স্ত্রী শেফালি আক্তার বাদী হয়ে গতকাল রোববার রাতে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য ও মামলার আসামি তাইজুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার ইউপি সদস্য বিগত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আমান উল্লাহ বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযুক্ত তাইজুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সোহেল হোসেন/এমজেইউ