বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তারাজুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার দায়ে দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হত্যাকাণ্ডের ৮ বছর পর বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়ার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শাহজাহান কবির এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হেলাল উদ্দিন ও মো. মানিক। তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় সাতজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার রহমান নগরে সপরিবারে বাস করতেন তারাজুল ইসলাম। আওয়ামী লীগের রাজনীতির পাশাপাশি করতেন ব্যবসা। ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে তিনি গাবতলীর সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে নিজ গ্রামের বাড়ি উপজেলার আটবাড়িয়া গ্রামে গেলে ৮ জুলাই রাতে তাকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাৎক্ষণিক বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কিছু দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে তারাজুলকে আবার বগুড়ার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে একই মাসের ৩১ জুলাই লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান।

তারাজুলের স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু বাদী হয়ে গাবতলী মডেল থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন। পরে গাড়িচালক হেলাল ও মানিক নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হত্যার ঘটনায় তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল বাছেদ জানান, দীর্ঘ আট বছর পর এই রায়ে তারাজুলের পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া আসামি হেলাল উদ্দিন ও মানিক আদালতে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

শাহিনুল আশিক/আরএআর