নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। পরে মাছটি ২৬ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের নামার বাজারের ইব্রাহিম মৎস্য আড়তে মাছটি নিলামে বিক্রি করা হয়।

জানা গেছে, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের শতফুল গ্রামের মনির মাঝি নামে এক জেলে মেঘনা নদীতে বুধবার  রাতে জাল ফেলেন। এ সময় জালে বিশাল আকৃতির কোরাল মাছটি ধরা পড়ে। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের নামার বাজারের ইব্রাহিম মৎস্য আড়তে নিয়ে আসলে আব্দুল মান্নান বেপারী নামে একজন মাছটি ২৬ হাজার টাকায় কিনে নেন।

ইব্রাহিম মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী মো. ইব্রাহিম  হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলে মনির মাঝি আমাদের আড়তে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ নিয়ে আসেন। নিলামে ১৩০০ টাকা করে আব্দুল মান্নান বেপারী ২৬ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন। নিষেধাজ্ঞার পর প্রথম এত বড় কোরাল পাওয়া গেল।

মৎস্য ব্যবসায়ী মো. সোহেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন মেঘনা নদী বেষ্টিত। এখানকার জেলেরা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রায় সময়ই বড় বড় মাছ পাওয়া যায় এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। আমরা খুব কম এত বিশাল কোরাল পেয়েছি। পর্যটকরা বারবিকিউ করতে বড় কোরাল পছন্দ করেন।

হাতিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মৎস্য সংরক্ষণে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সময়ে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করায় নদী ও সাগরে বড় আকৃতির মাছের সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে মেঘনায় বড় বড় পাঙাশ ও কোরাল পাওয়া যাচ্ছে। আমরা আশা করছি আগামীতে জেলেরা বড় আকৃতির মাছ আরও বেশি বেশি পাবেন।

হাসিব আল আমিন/এএমকে