গাইবান্ধা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ল্যাব সহকারী মিজানুর রহমান সবুজের বিরুদ্ধে একাধিক নারী শিক্ষার্থীকে হয়রানির অভিযোগ তদন্তে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত কমিটির এক দিনের টানা অনুসন্ধান ও সাক্ষ্যগ্রহণের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে চার সদস্যের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও প্রতিষ্ঠানটির চিফ ইন্সট্রাকটর (ইলেকট্রনিক্স) সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, অধ্যক্ষের নির্দেশনায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। প্রাথমিক তদন্তে অভিযুক্ত ল্যাব সহকারী মিজানুর রহমান সবুজ এ ঘটনায় জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সুপারিশ করেছি।

তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায়, ল্যাব সহকারী মিজানুর রহমান সবুজের বিরুদ্ধে নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ শতভাগ সত্য। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে পরীক্ষায় ডিভাইস ব্যবহারসহ একাধিক অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে। গণমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে অবৈধ উপার্জনের খবরও প্রকাশিত হয়েছিল বলে তদন্তে উল্লেখ করা হয়।

তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করতে সাহস না পায়।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার নূর মো. আনোয়ার রশিদ বলেন, চার সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়েছি। অভিযুক্ত মিজানুর রহমান সবুজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রতিবেদনটি অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুতই তার শাস্তি নিশ্চিত হবে এবং তাকে স্কুল থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গাইবান্ধা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ১০ জন শিক্ষার্থী ল্যাব সহকারী মিজানুর রহমান সবুজের বিরুদ্ধে নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানির লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, যা এক কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়। এই ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দ্রুত ন্যায়বিচারের আশা প্রকাশ করেছেন।

এর আগে, গত ২৮ অক্টোবর ৫ তলা ভবনের মালিক তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী, আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্নএবং ৩০ অক্টোবর গাইবান্ধার বিলাসবহুল ভবনের নকশাবহির্ভূত অংশ অপসারণে নোটিশ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশ করে জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্ট।

রিপন আকন্দ/এএমকে