কুমিল্লার বুড়িচংয়ে রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় চলন্ত ট্রেনের সামনে পড়ে যাত্রীবাহী অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বুড়িচং উপজেলার কালিকাপুর অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল গ্রামের আছমত আলীর ছেলে রফিক মিয়া, আ. মালেকের স্ত্রী লুৎফা বেগম, তৈয়ব আলীর ছেলে সানু মিয়া, আলী আশ্রাফের স্ত্রী সফরজান বেগম, মনির মিয়ার ছেলে সাজু মিয়া ও আলী আহমদ এবং পাশের খোদাইধুলি গ্রামের হোসনে আরা বেগম। 

স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সুবর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বুড়িচং উপজেলার কালিকাপুর এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় যাত্রীবাহী অটোরিকশাটি সেখানকার অরক্ষিত রেলক্রসিং দিয়ে পার হতে গেলে ট্রেনের সামনে পড়ে যায়। ফলে মুহূর্তেই ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় সেটি। ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার ৪ যাত্রীর মৃত্যু হয়। আহত হন আরও ৪ জন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।

লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি এমরান হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই লেভেল ক্রসিংটি অবৈধ। ট্রেন আসার বিষয়টি বুঝতে না পেরে হঠাৎ রেললাইনে উঠে পড়ায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থলে একজনের মরদেহ পেয়েছি। বাকিদের মরদেহ স্বজনেরা নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

আরিফ আজগর/আরকে