ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী পাবনা সদর উপজেলার সাদুল্লাপুর সভাপতি কুদ্দুস মুন্সীর ছেলেকে নিরাপত্তা দিয়ে নিজ বাড়িতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেহানুল ইসলাম বুলালের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সাদুল্লাপুরের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে‌ সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের স্বরূপপুরে-শ্রীকোল এলাকায় বিক্ষোভ করেন‌ স্থানীয়রা। এ সময় তারা বিএনপি নেতা বুলাল ও আওয়ামী লীগ নেতা কুদ্দুস মুন্সীর বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন। 

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, হাসিনা সরকারের দোসর সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কুদ্দুস মুন্সী বিগত ১৭ বছর এলাকায় বিএনপিসহ স্থানীয় লোকজনের ওপর নির্যাতন, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার কারণে ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান। ফ্যাসিবাদের দোসর এই পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার একজন আসামি। তিনি মানুষের জমি দখল করে  টাকার পাহাড় গড়েছেন। সুদের কারবারি করে এলাকার মানুষদের জিম্মি করে জমি নিজের নামে লিখে নিতেন। বিএনপি নেতা রেহানুল ইসলাম বুলাল সম্প্রতি নিজে উপস্থিত থেকে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে পলাতক  কুদ্দুস মুন্সীর ছেলেক বাড়িতে উঠিয়ে দিয়েছেন। বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে মাসুদ মুন্সিকে  পুনর্বাসন করেছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

এ বিষয়ে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও পাবনা সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেহানুল ইসলাম বুলালের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। 

তবে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি বুলাল কুদ্দুস মুন্সির ছেলেকে নাকি বাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে কেউ সাংগঠনিকভাবে অভিযোগ দিলে আমরা তদন্তের আওতায় নিয়ে আসব।

উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যা মামলার আসামি আব্দুল কুদ্দুস মুন্সীর পলাতক ছেলে মাসুদ মুন্সীকে সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেহানুল ইসলাম বুলালের নেতৃত্বে বাড়িতে উঠিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম শহীদ, আলাউদ্দিন খান, শামসুর রহমান রেন্টু, মনাসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরপর বাড়ির সামনে সকলে মিলে একটি গ্রুপ ছবি তুলে ফেসবুকে দিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। 

রাকিব হাসনাত/আরএআর