ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতার মৃত্যু, আ.লীগ নেতা কারাগারে
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা আবদুল মতিন তোতার মৃত্যুর মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক ওরফে কানা রাজ্জাককে (৪৮) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিজ্ঞাপন
এর আগে রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর ভাটারা থানা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কারাগারে পাঠানো আবদুর রাজ্জাক কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
নিহত আবদুল মতিন তোতা চরএলাহী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টায় চরএলাহী বাজারে একটি ফলের দোকানে বিএনপি নেতা আবদুল মতিন তোতার ওপর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, বিএনপি নেতা মো. ইসমাইল, মোস্তাফিজুর রহমানসহ আসামিরা হামলা চালান। এ সময় অভিযুক্তরা তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে আবদুল মতিন তোতাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী থেকে রাজধানীর ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চার দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার আবদুল মতিন তোতা মারা যান। গত ২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) নিহতের ছেলে ইসমাইল বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় আবদুল মতিন তোতার মৃত্যুর ঘটনায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির ৩১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে প্রধান আসামি করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, কোম্পানীগঞ্জের বিএনপি নেতা হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবদুর রাজ্জাককে নোয়াখালীর এক ব্যক্তি ভাটারা এলাকায় দেখে স্থানীয়দের জানান। পরে তারা রাজ্জাককে আটক করে খবর দিলে পুলিশ তাকে ভাটারা থানায় নিয়ে যায়। সোমবার দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। বিএনপি নেতা তোতা হত্যা মামলায় বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
হাসিব আল আমিন/এএমকে