গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি চারতলা ভবনের সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে টঙ্গীর আউচপাড়ার মোল্লাবাড়ি সড়ক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে তিনি মারা যান। 

মৃতের নাম মো. হাবিবুল্লাহ (১৯)। তার বাবার নাম মো. রুহুল আমিন। তিনি পরিবারের সঙ্গে আউচপাড়ার মোল্লাবাড়ি এলাকার ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। হাবিবুল্লাহ নরসিংদীর একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করতেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টঙ্গীর আউচপাড়া মোল্লাবাড়ি এলাকায় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এক ব্যক্তির একটি চারতলা ভবন রয়েছে। ভবনের সামনে অতিরিক্ত ভাড়ার আশায় সেপটিক ট্যাংকের ওপর তিন কক্ষের একটি আলাদা ইউনিট নির্মাণ করা হয়। সেই ঘরে পরিবারের সঙ্গে হাবিবুল্লাহ ভাড়া থাকতেন। এর মধ্যে গতকাল রাত ১০টার দিকে হঠাৎ বাসার নিচের সেপটিক ট্যাংকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ঘরগুলো ধসে পড়ে। গুরুতর আহত হন হাবিবুল্লাহ। পরে তাকে আহত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে তিনি মারা যান। ঘটনার পর থেকে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।

টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. শাহীন আলম বলেন, ‘আমরা রাত ১০টা ১০ মিনিটে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু আমরা যাওয়ার আগেই আহত হাবিবুল্লাহকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান তার আত্মীয়স্বজন। আমরা প্রাথমিক তদন্তে গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছি। বিশাল সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে গ্যাস বেরোনোর জন্য কোনো লাইন ছিল না। এ কারণে ভেতরে গ্যাস জমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আমরা সেপটিক ট্যাংকটি ঠিকঠাক মতো মেরামত না করা পর্যন্ত বাড়িটিতে কাউকে না থাকার জন্য সতর্ক করে এসেছি।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। কেউ যদি গাফিলতির অভিযোগ করেন, তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শিহাব খান/আরকে