ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন অংশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চেকপোস্ট বসিয়েছে। এসময় ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহন থামিয়ে যাত্রীদের তল্লাশি করা হচ্ছে। 

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর দেড়টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত  মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি করা হচ্ছে।

এ দিকে বন্দর থানাধীন মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে ৪টি বাস জব্দ করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, ঋণের বিনিময়ে বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকার শাহবাগে লোক জড়ো করার উদ্দেশ্যে এসব বাসে লোক নেওয়া হচ্ছে। তবে পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে বলে নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।

সকাল থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিবি পুলিশ, বন্দর থানা পুলিশ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ও কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা বিভিন্ন অংশে অবস্থান নিয়েছে। ঢাকাগামী প্রায় সব পরিবহনকেই পুলিশ সদস্যরা থামিয়ে যাত্রীদের তল্লাশি করছেন। তবে এর ফলে মহাসড়কের কোথাও কোনো যানজটের সৃষ্টি হতে দেখা যায়নি। নির্বিঘ্নে যাত্রী ও চালকরা গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারছেন।

পরিবহন চালকদের কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের তল্লাশির পাশাপাশি প্রত্যেকের গন্তব্য কোথায় তা জিজ্ঞেস করছেন। তবে সড়কের কোথাও যানজট দেখেননি তারা।

যাতায়াত নামের দূরপাল্লার একটি বাসচালক বলেন, মহাসড়ক পুরো ফাঁকা রয়েছে। সাইনবোর্ড অংশে ১০ মিনিট গাড়ি আটকে যাত্রীদের তল্লাশি করা হয়েছে। মূলত যাদের সন্দেহ হচ্ছে তাদেরই জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

এ বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আবু নাঈম বলেন, আমাদের টহল টিম মহাসড়কে রয়েছে। 

চেকপোস্ট বসানোর কারণ জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে একটি গ্রুপ বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে মানুষদের এনে ঢাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পরিকল্পনা করছে। সে জন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

মেহেদী হাসান সৈকত/আরকে