বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদ্য ঘোষিত কুমিল্লা জেলা ও মহানগর কমিটি ভেঙে দিয়ে কমিটি পুনর্গঠন না করলে কুমিল্লা ব্লকেড কর্মসূচির পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনটির ব্যানারে আন্দোলন করা একাংশ।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত ১২টার মধ্যে কমিটি ভেঙে দিতে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে এসব কথা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের আহ্বায়ক সৈয়দ আজহারুল আমিন।

এর আগে শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে কেন্দ্র ঘোষিত কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ করেন সংগঠনটির একাংশের নেতারা। বিক্ষোভ থেকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২৯৫ সদস্যবিশিষ্ট কুমিল্লা জেলা কমিটি এবং পরদিন শনিবার বিকেলে ১৯৭ সদস্যবিশিষ্ট কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা। আগামী ছয় মাসের জন্য কমিটি দুটিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের স্বাক্ষর রয়েছে।

শনিবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে কুমিল্লা মহানগর আহ্বায়ক কমিটির নাম জানানোর পর জেলা এবং মহানগর দুই কমিটিকেই অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ছাত্র-জনতার একাংশ। রাতে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করে সেসময় ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম জানানো হয়। একই সময় ১৬ সদস্য বিশিষ্ট কুমিল্লার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের শিক্ষার্থীরা। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে সৈয়দ আজহারুল আমিনকে।

সৈয়দ আজহারুল আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঘোষিত কমিটিতে সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। শনিবার বিকেলে যে কমিটির ঘোষণা করা হয়েছে, যারা আন্দোলনের সময় নিজের জীবনবাজি রেখেছিল তাদের কাউকে রাখা হয়নি। আমরা ঘোষিত জেলা ও মহানগর কমিটি ভেঙে দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিটি পুনর্গঠন করার আল্টিমেটাম জানিয়েছি। সেটা না করা হলে কুমিল্লা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করা হবে।

আরিফ আজগর/আরকে