আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ ও সদস্যসচিব আসফাক আহমেদ

কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান আহমেদকে আহ্বায়ক ও রংপুর মেডিকেল কলেজের ডা. আসফাক আহমেদ সদস্যসচিবকে করে ১৫৫ সদস্যবিশিষ্ট রংপুর জেলার আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রংপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

কমিটিতে মুখ্য সংগঠকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী রিফাত হাসানকে আর মুখপাত্র রংপুর সিটি কলেজের ইয়াসির আরাফাত। কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাহির ফয়সাল সৌরভ, কারমাইকেল কলেজের রকিবুল ইসলাম তৌফিকসহ আরও ৯ জন।

যুগ্ম সদস্যসচিব বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রুম্মানুল ইসলাম রাজ, মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের রাকিবুল ইসলাম শিশির, রংপুর টেকনিক্যাল কলেজের হামিম মুনতাসির অহনসহ আরও ৮ জন।

সংগঠক পদে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের শিক্ষার্থী তৌফিক আহমেদ হৃদয়সহ আরও ৭ জনকে রাখা হয়েছে। এসব পদ ছাড়াও কমিটিতে ১২২ জন সদস্য রয়েছেন।

আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের মিডিয়া সেলের মুখপাত্র রাজিমুজ্জামান হৃদয়। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের নেতৃত্বে সারা দেশে সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তৃতির লক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় রংপুর জেলা কমিটি আহ্বায়ক গঠন করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গত ১ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন একপর্যায়ে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার সেই অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। আন্দোলন পরিচালনায় ৮ জুলাই ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে ৩ আগস্ট তা বাড়িয়ে ১৫৮ সদস্যের করা হয়। ২২ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক টিম বিলুপ্ত করে চার সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ