রংপুরে নাগরিকত্ব অলিম্পিয়াড
জনগণকে নাগরিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক চর্চার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে
‘সচেতন, সংগঠিত ও সোচ্চার নাগরিকই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিভাগীয় নগরী রংপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে নাগরিকত্ব অলিম্পিয়াড। রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দিনব্যাপী আরডিআরএস বাংলাদেশ ভবনের বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে দি হাঙ্গার প্রজেক্টের সহযোগিতায় নাগরিকত্ব অলিম্পিয়াডের আয়োজন করে পিস ফেসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি)।
অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রংপুর জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন।
বিজ্ঞাপন
সম্মানিত অতিথি ছিলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়র মা সামসি আরা জামান কলি, রংপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম মিজু, পিএফজির রংপুর সমন্বয়ক ও সুজন রংপুর মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু, রোকেয়া সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক এল. এম আজহারুল ইসলাম দুলাল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাকসুদার রহমান মুকুল, পিএফজির রংপুরের অন্যতম সদস্য জুয়েনা ফেরদৌস মিতুল, বেলাল আহমেদ, ঢাকা পোস্টের নিজস্ব প্রতিবেদক ফরহাদুজ্জামান ফারুক প্রমুখ।
পুরো অনুষ্ঠানটি দি হাঙ্গার প্রজেক্টের রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়কারী রাজেশ দে রাজু। সহযোগিতায় ছিলেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের জেলা সমন্বয়কারী তমাল হোসেন।
অতিথিরা আলোচনায় বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে না পারার ব্যর্থতা শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর একার নয়। সচেতন ও সংগঠিত জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে না পারার পাশাপাশি ন্যায় অধিকার প্রতিষ্ঠায় নাগরিকদের সোচ্চার ভূমিকা না থাকায় বার বার গণতান্ত্রিক ধারা হোঁচট খেয়েছে। ভোট দেওয়া বা ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না। জবাবদিহিতাও সৃষ্টি করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত হতে দেওয়া যাবে না। জনগণকে সংবিধান, নাগরিক অধিকার এবং গণতান্ত্রিক চর্চার ব্যাপারে সজাগ সচেতন হতে হবে।
বক্তারা বলেন, একাত্তরের স্বাধীনতা থেকে নব্বই হয়ে সবশেষ চব্বিশের আন্দোলনের স্প্রিটকে ধারণ করে সত্যিকারের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। আবু সাঈদ-মুগ্ধদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান সমুন্নত রেখে ন্যায্যতা ও সাম্যতারভিত্তিতে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সবার আগে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি ও সহাবস্থান নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি তরুণদেরকে এ নিয়ে সামাজিক আন্দোলন করার আহ্বান জানান বক্তারা।
নাগরিকত্ব অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সেরা ১০ বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয়। অলিম্পিয়াডে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর সরকারি কলেজ, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ, সরকারি আজিজুল হক কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৭০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। সেরা ১০ এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর কারমাইকেল কলেজের নসিবুল হাবিব নিশীথ, ১ম রানারআপ সরকারি আজিজুল হক কলেজের মো. ইবনে বরাত এবং ২য় রানার আপ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মল্লিকা রানী। আলোচনা পর্ব শেষে অংশগ্রহণকারীদের হাতে অতিথিরা পুরস্কার তুলে দেন।
ফরহাদুজ্জম্মান ফারুক/এএমকে