ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিংয়ের ঘটনা-সংক্রান্ত প্রতিবেদন চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ছাত্রদের র‍্যাগিং করা ও পাঁচ শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দের বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

রোববার (২৪ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহীনুল ইসলাম বলেন, এখনো প্রতিবেদন হাতে পাইনি। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ঘটনা অবগত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছি।

লালন শাহ হলের প্রভোস্ট ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে যে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে তা আমরা রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিয়েছি। আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে। দু-এক দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, হল থেকে প্রতিবেদন আমার কাছে দিয়েছে। সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যতদ্রুত সম্ভব পাঠানো হবে।

এর আগে, গত ১৮ নভেম্বর মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে মধ্যরাতে নবীনদের র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে ৯ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে পাঁচজন হলের শিক্ষার্থীদের কাছে হাতেনাতে ধরা পরলে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ঘটনার পরের দিন ৯ জনকেই অভিযুক্ত করে ইবি থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীদের একজন। পরে থানায় আটক থাকা পাঁচ শিক্ষার্থীকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরদিন ২০ নভেম্বর আদালত অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর করেন। একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা বরাবর র‍্যাগিংয়ের বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা।

এদিকে ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ১৯ নভেম্বর হলের প্রভোস্টকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে দ্রুততম সময়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী একটি মেসে ও হলে তাদের ১৭ দিন ধরে শারীরিক, মানসিক ও যৌন হয়রানিমূলক নির্যাতন করা হয়েছে।

রাকিব হোসেন/এএমকে