সুনামগঞ্জে পথনাটক উৎসব, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নতুন প্রাণের স্পন্দন
‘হাল ছেড় না বন্ধু বরং কণ্ঠ ছাড় জোরে’ স্লোগান নিয়ে সুনামগঞ্জে চলমান তিন দিনব্যাপী পথনাটক উৎসবের দ্বিতীয় দিন ছিল দর্শকের সরব উপস্থিতিতে মুখরিত। দীর্ঘ বিরতির পর জেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গন যেন নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত এই উৎসবে নাট্যপ্রেমীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
২১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই নাট্য উৎসব চলবে ২৩ নভেম্বর (শনিবার) পর্যন্ত। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) নাট্য উৎসবের দ্বিতীয় দিনের মূল আকর্ষণ ছিল সিলেটের ‘কথাকলি সিলেট’ থিয়েটারের নাটক কাউয়া সমাচার ও গানের পরিবেশনা। “থিয়েটার ২১” তাদের নাটক ‘জাগো’ পরিবেশনার মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করে।
বিজ্ঞাপন
উৎসবের আয়োজক বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগ এবং সহযোগী হিসেবে জেলা শিল্পকলা একাডেমি। দর্শকদের অভিব্যক্তি ও প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে, এই আয়োজন শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য নয়, বরং সামাজিক বার্তা পৌঁছানোর জন্যও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
নাট্য উৎসবে আসা রাহী জামাল ঢাকা পোস্টকে জানান, সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এটাই প্রথম নাট্য উৎসব। খুব ভালো একটা নাটক দেখলাম। অনেকদিন পরে পথনাটক দেখলাম।
নাটক দেখতে আশা সৈয়দ রায়হান ঢাকা পোস্টকে জানান, দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বদলের পরে এমন উৎসব সুনামগঞ্জের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে রঙিয়ে দিয়েছে। আমরা আরো বড় পরিসরে এমন উৎসব চাই।
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নতুন করে প্রাণসঞ্চারের মাধ্যমে এই উৎসব জেলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা। আজকের পরিবেশনা এবং দর্শকের প্রতিক্রিয়া তাদের এই প্রত্যাশাকে আরও দৃঢ় করেছে।
সুনামগঞ্জ জেলা কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে জানান, সাংস্কৃতিক অঙ্গন স্থবির থাকবে এমন একটা ভ্রান্ত ধারণা ছিল অনেকের। কিন্তু আমাদের ৩ দিন ব্যাপী পথনাটক উৎসব তাদের এই শঙ্কা দূরীকরণে একটা মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে। আমরা আশাবাদী আগামীতে আরো বড় পরিসরে আমরা সব সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করবো।
তামিম/এসএম