ব্যবসা দখলে নিতে যুবদল নেতাকে হুমকির অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে যুবদল নেতা মো. হাসানুজ্জামান সবুজ পন্ডিতের প্রায় ৭০ লাখ টাকার জেনারেটর ব্যবসা দখলে নিতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাকে রায়পুর পৌর তাঁতী লীগের সভাপতি নুরউদ্দিন ভাট শিপলু ও তার স্বজনরা বিভিন্ন মাধ্যমে এ হুমকি দেন।
এতে নিরাপত্তাহীনতায় শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে হাসানুজ্জামান সবুজ সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন। বিষয়টি তিনি থানা পুলিশ ও বিএনপি নেতাদের জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগী সবুজ রায়পুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি। তিনি পৌর যুবদলের সাবেক সহসভাপতি।
লিখিত অভিযোগে সবুজ জানান, ২০০৬ সালে তিনি ও শিপলু যৌথভাবে রায়পুর পাওয়ার সাপ্লাই নামক একটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে জেনারেটর ব্যবসা শুরু করেন। এরপর আর্থিক সংকট দেখা দিলে শিপলু তার অংশ বিক্রি করার উদ্যোগ নেন। এতে শিবলুর অংশ ২৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় সবুজ কিনে নেন। ১৫০ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে বিক্রয় চুক্তি সম্পন্ন করেন। পরে মালিকানা বুঝে প্রায় ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। এরপর তার লাভজনক ব্যবসা দেখে শিপলু বিভিন্নভাবে তা দখলের চেষ্টা করেন। ২০১১ সালের শেষের দিকে শিপলু রায়পুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী জামশেদ কবীর বাকী বিল্লাহর ঝলসা ঘরে সবুজকে ডেকে নেন। পরে দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে তাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। এরপর থেকে তার ব্যবসা জোরপূর্বক শিপলু দখল করে নেন। একপর্যায়ে নাশকতার একাধিক মামলার আসামি করে তাকে লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে পাঠান। এরপর হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকিতে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
হাসানুজ্জামান সবুজ পন্ডিত বলেন, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর শিপলুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আমাকে ব্যবসা বুঝে নিতে বলেন। এতে ব্যবসা বুঝে নেওয়ার পর পুনরায় তা দখলে নেওয়ার জন্য শিপলুসহ তার স্বজনরা হুমকি দিয়ে আসছেন। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। গত ১৩ বছরে এ প্রতিষ্ঠান থেকে তারা প্রায় ২ কোটি টাকা লাভ করেছেন। বিনিয়োগ ছিল আমার। লাভের অংশ তারা নিয়েছেন। আমি ওই টাকা ফেরত চাওয়ায় এখন তারা আমাকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছেন। এর সঙ্গে শিপলুর বাবা হুমায়ুন ভাট ও ভগ্নিপতি এম এ হায়দার অপুও জড়িত রয়েছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে নুরউদ্দিন শিপলু ভাট বলেন, সবুজ একসময় আমার ব্যবসায়িক অংশীদার ছিল। হিসাব করে তার পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে এখন কোনো লেনদেন নেই।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, জেনারেটর ব্যবসা নিয়ে দুইপক্ষই থানায় পরস্পরবিরোধী অভিযোগ করেছেন। তাদেরকে কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে। যে সঠিক ডকুমেন্ট উপস্থাপন করতে পারবে তাকে আমরা ব্যবসা বুঝিয়ে দেবো।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এএমকে