মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেনাবাহিনীর ৮৪৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা সেনানিবাসের এমআর চৌধুরী প্রাঙ্গণে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্যদের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন বীরত্বগাঁথা ও মুক্তিযুদ্ধের সেনাবাহিনীর ভূমিকা এবং সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক বলেন, ১৯৭১ সালে কুমিল্লা সেনানিবাসে বাঙালি সেনা কর্মকর্তা, সেনা সদস্য, সেনানিবাসে অবস্থিত অসামরিক ব্যক্তিবর্গকে পাক হানাদাররা অতর্কিত হামলা চালিয়ে অন্তরীণ করা হয়। অন্তরীণ করা হয় কুমিল্লা শহরের অনেক সরকারি কর্মকর্তা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গকে। তারপর শুরু হয় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। ২৪ জন সেনা কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও ৩০০ জন সেনাসদস্য এবং ইস্পাহানী পাবলিক স্কুলের ১১ জন শিক্ষকসহ প্রায় ৫০০ জন ব্যক্তিবর্গকে বর্বর পাক হানাদার বাহিনী হত্যা করে।

মোহাম্মদ তারিক বলেন, আজ ২১ নভেম্বর মহান সশস্ত্র বাহিনী দিবস, যা বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতা যুদ্ধের গতিকে ত্বরান্বিত করতে সম্মিলিত আক্রমণ সূচিত হয়। এর ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা অর্জন করি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশ। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধার অংশ হিসেবে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেনাবাহিনীর ৮৪৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের সম্মানে সংবর্ধনা দিচ্ছি। 

তিনি আরও বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

একই সঙ্গে জাতীয় পর্যায়ে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা, পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন দেশগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান তুলে ধরেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইসমাইল, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, সশস্ত্র বাহিনীর প্রাক্তন সদস্যরা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

হাসিব আল আমিন/এমজে