জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, তরুণ প্রজন্ম মাদকের ফাঁদে পড়ে ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন থেকে কোনো ক্যাম্পাস মাদকের অভয়ারণ্য হতে পারবে না। মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আওয়ামী লীগ সরকার মাদক কারবারিদের প্রশ্রয় দিয়েছিল। এর সঙ্গে প্রশাসনের লোকজনও জড়িত ছিল।

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। ছাত্ররাজনীতি নিয়ে অপতৎপরতা চলছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর গত ১৫ বছর হামলা মামলা চালানো হয়েছে। তারা তাদের জীবনের বিনিময়ে এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ছাত্রসমাজের দাবিগুলো তারেক রহমান পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাস্তবায়ন করবেন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত যৌথ কর্মীসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রদল সভাপতি বলেন, প্রচলিত ছাত্ররাজনীতির শৃঙ্খল ধ্বংস করে দিয়েছিল ছাত্রলীগ। হাসিনা সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে কাজ করেছে তারা। ছাত্রদল এই রাজনীতির ধারা পরিবর্তন করবে। ছাত্রদল নম্র ও ভদ্রভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে কাজ করে যাবে। ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে নিরলসভাবে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বলতে চাই, ইউনূস সাহেবের নির্দলীয় সরকার দীর্ঘমেয়াদি সরকার নয়। তাদের অনেক বাধা-বিপত্তি রয়েছে। এই সরকার তাদের সংক্ষিপ্ত কাজ সম্পন্ন করবে। ছাত্রদল তাদের পাশে থেকে ক্যাম্পাস, মহানগর, জেলা, উপজেলায় সহনশীল ভূমিকা রাখছে।

রাকিবুল ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্রদলের দেড় শতাধিক নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ন্যায় উৎপাদনমুখী, কর্মমুখী এবং জীবনমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করবে ছাত্রদল। আগামী নির্বাচনে যারা ক্ষমতায় আসবে তাদের কাছে ছাত্রদলের আহ্বান থাকবে কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা।

অনুষ্ঠানে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম ফরাজী, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েলসহ জেলা ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।

গোলাম রাব্বানী/এমজেইউ