জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট তৌহিদুর রহমান চৌধুরী তুষার এবং দেওয়ানী আদালতে জেলা জজ কোর্টে সরকারি কৌশলী (জিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে ড. মো. জাকির হোসেন।

আইন মন্ত্রণালয়ের গত ১৮ নভেম্বর উপ-সলিসিটর (জিপি-পিপি) স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে খুলনার বিভিন্ন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনার জন্য মোট ১২৪ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট একেএম শহিদুল আলম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পিপি অ্যাডভোকেট হালিমা আক্তার খানম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পিপি অ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার হেনা, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর পিপি অ্যাডভোকেট তাসলিমা খাতুন ছন্দা, বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে পিপি অ্যাডভোকেট শেখ নুরুল হাসান রুবা, বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-এ পিপি অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান খান, মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে পিপি অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান জনি, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে পিপি অ্যাডভোকেট এসএম মাহফুজুর রহমান মফিজ, সাইবার ট্রাইব্যুনাল পিপি অ্যাডভোকেট চৌধুরী আব্দুস সবুর, সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পিপি অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম জোয়াদ্দার খোকনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আদালতে কর্মরত আগের আইন কর্মকর্তাদের একই প্রজ্ঞাপনে অব্যাহতি দিয়ে এই নিয়োগ প্রদান করা হয়, যেটি অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট তৌহিদুর রহমান চৌধুরী তুষার ২০০১ সালের ২৪ মার্চ জেলা আইনজীবী সমিতি খুলনা ও ২০০৫ সালে সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া ও ঢাকাস্থ প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন শাস্ত্রে ডবল এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি দীর্ঘ ২৪ বছর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আইনজীবী হিসেবে নিয়মিত আইন পেশা পরিচালনা করছেন তিনি। এছাড়া দেওয়ানী আদালতে জেলা জজ কোর্টে সরকারি কৌশলী (জিপি) ড. মো. জাকির হোসেন খুলনা সিটি কলেজের একজন শিক্ষক এবং সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িত।

মোহাম্মদ মিলন/এফআরএস