সিভিল সার্জন অফিসের ওয়েবসাইট হ্যাক করে ‘ঔষধ চোর’ লিখলেন হ্যাকাররা
প্রায় সোয়া চার ঘণ্টা হ্যাকারদের দখলে থাকার পর মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সরকারি ওয়েবসাইটটি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় কর্তৃপক্ষ। তবে সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাকিং করে কার্যালয়ে দায়িত্বরত সিভিল সার্জনসহ অন্যান্য চিকিৎসকের নামের পাশে হ্যাকাররা তাদের ইচ্ছেমতো শব্দ যুক্ত করে। সাইটটি হ্যাকিং হওয়ার পরপরই একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মকছেদুল মোমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে আজ দুপুরে জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সরকারি ওয়েবসাইটটি হ্যাক করে হ্যাকাররা।
বিজ্ঞাপন
আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, সিভিল সার্জন ডা. মো. মকছেদুল মোমিনের নামের পাশে ‘আমি ওষুধ চোর কিনা জানি না’ লিখে রাখেন হ্যাকাররা। একইসঙ্গে কো-অর্ডিনেটর (এমও) ডা. ইসমত জাহান ভূঁইয়ার নামের পাশে ‘মোটামুটি’, ডিস্ট্রিক্ট সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার ডা. মোস্তফা কাদের রিসাদের নামের পাশে ‘ঔষধ চোর’, মেডিকেল অফিসার ডা. দিবাকর মণ্ডলের নামের পাশে ‘ঔষধ চোর’ এবং মেডিকেল অফিসার (টিবি-লেসপ্রী) ডা. আল-আমীনের নামের পাশে ‘ঔষধ চোর’ লিখে দিয়েছে হ্যাকাররা।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মকছেদুল মোমিন বলেন, আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে হ্যাকাররা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ওয়েবসাইটটি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর বিকেল ৪টার দিকে হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণ থেকে ওয়েবসাইটটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। হ্যাকিংয়ের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন আর কোনো ঝুঁকি নেই।
তিনি আরও বলেন, হ্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। তবে হ্যাকারদের চিহ্নিত করার জন্য ইতোমধ্যে আমাদের ডিজি অফিস, এনএসআই’সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন সংস্থাকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের চিহ্নিত করা গেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সোহেল হোসেন/এমজেইউ