দল ভারী করার জন্য বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের উচ্ছিষ্টভোগী দালালদের মিছিলে স্থান দেওয়া যাবে না মর্মে দলীয় নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল ইসলাম নয়ন।

তিনি বলেন, জনগণের কষ্ট হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না। গ্রামের হাট-বাজারে কৃষকের পণ্য নষ্ট করে শত শত লোক নিয়ে মিছিল করা যাবে না। আগে কেন্দ্রীয় নেতারা কোনো এলাকায় আসলে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করা হতো, এখন তা নিষেধ করা হয়েছে। আগে যে মিছিলে ৫০ জন লোক এখন সেই মিছিলে ৫০০ লোক হয়, এতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু দল ভারী করার জন্য বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের উচ্ছিষ্টভোগী দালালদের দলে বা মিছিলে স্থান দেওয়া যাবে না। কেউ এই ধরনের কাজ করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।   

বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার গাজীপুর মোড় এলাকায় সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষ সম্বলিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় নূরুল ইসলাম নয়ন আরও বলেন, আজ ২০ নভেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন। কিন্তু আমাদের নেতা তারেক রহমান এই জন্মদিন পালন করতে নিষেধ করেছেন। তিনি দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে চান। এ কারণেই তিনি তার জন্মদিন পালন করতে নিষেধ করেছেন। এমনকি তার নামে আগে দেশনায়ক বা রাষ্ট্রনায়ক বলতেও নিষেধ করেছেন। 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশব্যাপী বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের গণসংযোগ কর্মসূচি চলবে জানিয়ে এই যুবদল নেতা বলেন, বিগত ১৬ বছরে দেশে গণহত্যা চালিয়েছেন শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছেন। অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় বিচার করতে হবে। ভবিষ্যতে যেন এমন কোনো সরকার দেশে না আসে, যারা ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন করতে পারে। এজন্য দেশের মানুষকে বুঝিয়ে বিএনপির পতাকাতলে সমবেত করতে হবে।

পরে যুবদল নেতা নূরুল ইসলাম নয়ন স্থানীয় কলতাপাড়া, রামগোপালপুর এলাকায় পথসভা শেষ করে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ ও নান্দাইল উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষ সম্বলিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় তিনি হাট-বাজারের সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সালাম ও বার্তা পৌঁছে দেন।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা উত্তর যুবদলের সভাপতি শামছুল হক ভিপি শামছু, সাধারণ সম্পাদক রবিউল করিম বিপ্লব, সহসভাপতি জিয়া উদ্দিন ফকির, কাজী আব্দুল্লাহ আল আমিন, সানোয়ার হোসেন খান, মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল, আজিজুল হাই সোহাগ, কামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম, হুমায়ান কবীর প্রমুখ।

মো. আমান উল্লাহ আকন্দ/এএমকে