শেরপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীন আদালতে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) ও পাবলিক প্রসিকিউটরসহ (পিপি) ৩১ আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্তরা সবাই বিএনপিপন্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির আহবায়ক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম।

এতে জেলা জজ আদালতে সরকারী কৌঁসুলি (জিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জেলা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুবুল আলম রকীব। জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। এদিকে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পিপি পাবলিক প্রসিকিউর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট আশরাফুন্নাহার (রুবি)। ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে প্রথম নারী আইনজীবী হিসেবে পুর্ণাঙ্গ পিপি হলেন তিনি।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর লিখিত সচিবালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উপ-সলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মো. মাহ্রুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এক পত্রাদেশে এ নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। একই আদেশে আগে নিয়োগকৃত সব আইন কর্মকর্তার নিয়োগাদেশ বাতিলক্রমে তাদের নিজ নিজ পদের দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

জিপি-পিপির পাশাপাশি একই পত্রাদেশে জেলা জজ আদালতে একজন অতিরিক্ত সরকারী কৌঁসুলি (অতিরিক্ত জিপি) এবং পাঁচজন সহকারী কৌঁসুলি (এজিপি), জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তিনজন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (অতিরিক্ত পিপি) এবং ১৮ জন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি), নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একজন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জেলা জজ আদালতের নিয়োগপ্রাপ্ত একজন অতিরিক্ত জিপি হলেন- অ্যাডভোকেট আবুজার গাফ্ফারী। জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তিনজন অতিরিক্ত পিপিরা হলেন- অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান, অ্যাডভোকেট মো. ছামিউল ইসলাম (আতাহার) ও অ্যাডভোকেট এম.কে. মুুরাদুজ্জামান। এছাড়া পাঁচজন এজিপি হলেন- মো. আফছার উদ্দিন, মো. জয়নাল আবেদীন, মো. আশরাফুল ইসলাম (সোহেল), শারমীন সুলতানা বিথী ও সিদ্দিকুর রহমান ভুঁইয়া। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এপিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. শামছু হক।

এছাড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ১৮ এপিপি হলেন- মো. আশরাফুল আলম (লিচু), মুন্সী মো. মহসিন, মোছা. রৌশনারা বেগম, মো. গোলাম হক সরকার, মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ (বাচ্চ), শাহনুর রহমান রুবেল, মো. আদিলুজ্জামান, মো. আল আমিন, মোহাম্মদ রাশেদুর রহমান (রাসেল), মোহাম্মদ সুজাউদদৌলা, মোক্তারোজ্জামান (মুক্তার), মো. জমশেদ আলী, মো. মাছউদুর রহমান শামীম, এ.কে.এম. হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সৈয়দ হাবিবুর রহমান (রুনু), মো. সেখ সাহেদ রহমান, মো. মতিউর রহমান (২) এবং মো. বজলুর রহমান।

সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত জিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুবুল আলম রকীব ও পিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান জানান, বুধবার (২০ নবেম্বর) থেকে তারা আদালতে আইনি দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং বিচারপ্রার্থীদের সঠিক বিচার নিশ্চিত করাই হবে তাদের মূল লক্ষ্য।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পিপি অ্যাডভোকেট আশরাফুন্নাহার (রুবি) বলেন, আমি নারীর অধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ন্যয়বিচার নিশ্চিত করতে আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতে লড়ে যাব। আমার দায়িত্ব পালনকালীণ সময়ে আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

নাইমুর রহমান তালুকদার/এফআরএস