দিন দিন কমতে থাকা তাপমাত্রা জানান দিচ্ছে হেমন্তের বিদায় সময়। উত্তরের হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা থেকে প্রবাহিত হিম বাতাসে বাড়াচ্ছে শীতের পরশ। পঞ্চগড় জেলায় গত কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ১৬ ডিগ্রির নিচে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) ভোর ৬টায় এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছে পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।

এদিন ভোর থেকে দেখা যায়, হালকা কুয়াশা ভেদ করে ছড়াচ্ছে সূর্যের আলো। শীতের পরশ ছড়াচ্ছে উত্তরাঞ্চলের এ জেলার জনপদে। অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহেই তাপমাত্রা কমে শীতের মাত্রাটা কিছুটা বেড়েছে। এমন শীতের মধ্যে ভোর থেকেই কর্মব্যস্ততা দেখা যায় বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষদের। দিনমজুর, পাথর ও চা শ্রমিক, ভ্যানচালক কাজে বেরিয়েছেন সকাল সকাল। নবান্নের ধান খেতে ছুটছেন কৃষকরা। ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঘরের কৃষাণীরাও।

স্থানীয়রা জানান, বাংলা সনের অগ্রহায়ণ মাস পড়েছে। এমন সময়ে বিকাল গড়ালেই সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত শীত অনুভব হয়। দিন দিন তাপমাত্রা কমতে থাকায় বাড়তে শুরু করেছে শীতের অনুভূতি। সন্ধ্যার পরেও গায়ে জড়াতে হচ্ছে শীতের কাপড়। রাতে কম্বল ও কাঁথা নিতে হচ্ছে। তবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত এখনো বেশ গরম থাকছে। বিশেষ করে আমাদের উত্তরের জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত এলাকা হওয়ায় এখানে সবার আগে শীত নামে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি (পৌষ-মাঘ) পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি হয়ে থাকে।

এদিকে এখনো সেভাবে শীত না পড়ায় দিনে গরম ও রাতে হালকা ঠাণ্ডা অনুভব হওয়ার কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। ভোরে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা তত কমতে শুরু করবে।

এসকে দোয়েল/এফআরএস