সংবাদ সম্মেলনে দাবি
মায়া চৌধুরীর বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপি জড়িত নয়
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বাড়িতে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপির কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন দলটির স্থানীয় নেতারা।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে মোহনপুর ইউনিয়ন যুবদলের কার্যালয়ে ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তারা।
বিজ্ঞাপন
গত শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার গ্রামের বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় শিপন খালাসী নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মী বাদী হয়ে ৪১ জনকে আসামি করে এবং ৭০/৮০ জনকে অজ্ঞাত করে মতলব উত্তর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে মোহনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান নিপু লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত শনিবার মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বাড়িতে কে বা কারা রাতের অন্ধকারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। আমরা প্রশাসনের কাছে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি, যাতে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি হয়রানি না হয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সানাউল্লা হক, ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাফায়াত খান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুরাদ ব্যাপারী, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি কবির তফাদার, সাধারণ সম্পাদক কবির সরকার, প্রচার সম্পাদক এনামুল হক, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো. সোহেল রানা তালহা, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সুজন প্রধান, যুবদল নেতা মো. সোহরাফ মিয়া, বিএনপি নেতা আমান উল্ল্যা মৃদা, বাবুল খান, আমজাদ গাজী’সহ ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, মায়া চৌধুরীর বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় মতলব উত্তর থানায় মোহনপুরের মাখন খালাসীর ছেলে শিপন খালাসী বাদী হয়ে সোমবার ৪১ জন এজহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনায় মোহনপুর এলাকা থেকে পুলিশ মামলার ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে তাদেরকে চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আনোয়ারুল হক/এমজেইউ