দীর্ঘ ১৩ বছর আত্মগোপনে থাকা হত্যা মামলায় আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত মো. মনির হোসেন (৩২) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-১১)।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবআইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে আজ রাত ৯টায় র‍্যাব-১১ ও সিপিসি-১-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর অনাবিল ইমাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত মো. মনির হোসেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কোতয়ালেরবাগ এলাকার মো. বিল্লাল মুন্সির ছেলে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়,  ২০১১ সালের ২১ এপ্রিল রাতে পরিবারের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন ফতুল্লা থানার শিয়াচর এলাকার আনিছ মিয়ার ভাড়াটিয়া ও ঝুট ব্যবসায়ী কবির হোসেন (৩৫)। রাত আনুমানিক ১টার দিকে ভিকটিমকে ফোন করে তার ভাড়া বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত আসামিরা। এরপর ভিকটিম আর বাড়িতে ফিরেননি। পরদিন সকালে পাশের এলাকার একটি ডোবা থেকে তার গলা ও পেট কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব আরও জানায়, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে পূর্ব বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম কবির হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে। দীর্ঘ এক যুগ পর ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা এ হত্যা মামলাটির রায় ঘোষণা করেন।

ওই রায়ে দুইজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—ফতুল্লার সিয়াচর এলাকার সালেহা বেগম ও মনির হোসেন। আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন—কাজল মিয়া, মো. জুয়েল, নুরুল ইসলাম, মাজেদুল ইসলাম ও মো. লিটন মিয়া।

মামলার রায় হওয়ার পর থেকে আসামি মো. মনির হোসেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির বাইরে গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান এবং দীর্ঘদিন পলাতক থাকেন। দীর্ঘ ১৩ বছর পর সোমবার র‍্যাবের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পরোয়ানায় বর্ণিত আসামি মো. মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

এএমকে