খুলনায় চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন কখনো লেজুড়বৃত্তিক পরগাছা হতে চায়নি
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ইসলামী আন্দোলন নিছক দু-একটি এমপি-মন্ত্রীর পদের জন্য, কিংবা সম্মান ও সম্পদের জন্য রাজনীতি করে না। রাজনীতি করে দেশ, মানবতা ও ইসলামের কল্যাণের জন্য। জনগণের প্রত্যাশা ছিল এই পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ হবে কল্যাণকর সুন্দর রাষ্ট্র। দেশটা হবে বিশ্বের মধ্যে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা রাষ্ট্র। এই জন্যই আমরা মাঠে রাজনীতি করছি।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে অনুষ্ঠিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলার উদ্যোগে দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, বন্ধকৃত সব মিলকারখানা চালু, সংখ্যানুপাতিক (পি আর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
চরমোনাই পীর বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার তিনবার ক্ষমতায় থেকে দেশ পরিচালনা করেছে। তারা বাংলাদেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার হয়নি। দিনের ভোট রাতে বাক্সের ভেতরে ঢুকিয়ে ঘোষণা দিয়ে জোর করে ডাকাতের মতো দেশ পরিচালনা করেছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকার, খুনি সরকার, টাকা পাচারকারী এবং বিদেশিদের দালার সরকার। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ইসলামের ব্যাপারে যাতে ভুল ম্যাসেজ পায়, ইসলামের বিরুদ্ধাচারণ করে এই আচরণগুলো শিক্ষা সিলেবাসে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, এ দেশে শতকরা ৯২ জন মুসলমান বসবাস করে। বাংলাদেশে ইসলামের সুন্দর ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। বিগত দিনের পরীক্ষিত দুর্নীতিবাজ, খুনি, স্বার্থান্বেষী মহলকে আর ক্ষমতায় দেখতে চাই না। তিনি মানুষকে হাতপাখা প্রতীকের পক্ষে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।
ছাত্রদের হত্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরে চরমোনাই পীর বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মেধাবী সন্তানগুলো ন্যায্য অধিকার আদায়ে রাজপথে নেমেছিলেন, ঠান্ডা মাথায় গুলি করে পাখির মতো রাস্তায় লুটিয়ে ফেলা হয়েছে। এরা মানুষ নামে পশুর চেয়েও খারাপ।
তিনি আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একজন এমপিও সংসদে যায়নি। এর অর্থ কী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দুর্বল? বারবার তারা আমাদেরকে বোকা পেয়ে ধোঁকা দিয়ে সিঁড়ি বানিয়ে ক্ষমতায় যেয়ে টুনটুনাটুন শব্দ ব্যবহার করেছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তাদের বারবার ধোঁকা, খুন, টাকা পাচারের জন্য সহযোগী শক্তি হতে চাইনি। এ জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কখনো লেজুড়ভিত্তিক পরগাছা হতে চাইনি। আমরা পরগাছা কেন হবো। এ দেশ আমার, এ দেশ স্বাধীন করেছে ওলামায়েকেরাম। শাহজালাল, শাহপরান, খানজাহান আলীর জন্মভূমি। এ দেশে নাস্তিকরা মাথা উঁচু করবে আর মুসলমান দেবে থাকবে এটা হতে পারে না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও খুলনা মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এবং নগরসহ সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন, নগর সেক্রেটারি মুফতী ইমরান হুসাইন, জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালীবের যৌথ সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হুসাইন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমেদ সাকী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল বশর আজিজী।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ বলেন, খালিশপুর শিল্পাঞ্চল কারা বিরান ভূমিতে পরিণত করেছে? দেশের টাকা কারা পাচার করেছে? যারা মানুষ হত্যা করেছে তাদের বিচার করতে হবে। যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে তাদের বিচার করতে হবে। বিতর্কিত উপদেষ্টাদের প্রত্যাহার করতে হবে।
গণসমাবেশে বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান, দারুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুসতাক আহমেদ, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতি গোলামুর রহমান, জেলা সভাপতি মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা নগর সহসভাপতি মুফতী আমানুল্লাহ, আবু তাহের, জেলা সহসভাপতি জাহিদুল ইসলাম, মাওলানা আসাদুল্লাহ হামিদী, প্রভাষক আবু গালিব, এস এম রেজাউল করিম, মাওলানা দ্বীন ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মো. মঈন উদ্দিন, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, এইচ এম আরিফুর রহমান, মো. হুমায়ুন কবীর, মোহা. নাজমুল হুদা, মাওলানা হাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ, মাওলানা মাহবুবুল আলম, মো. আবুল কাশেম, মাওলানা হারুন অর-রশিদ, মাস্টার মঈন উদ্দিন ভূইয়া, মাস্টার জাফর সাদেক, অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন, মো. আক্তার হোসেন, মোহা. আলী, আব্দুর রহমান, আমজাদ হোসেন, মুফতি ইলিয়াস হোসেন মাঞ্জুরী, মাওলানা মাসুদুর রহমান, মাওলানা ফজলুল হক ফাহাদ, মাওলানা নাসিম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা জি, এম কিবরিয়া, মোহাম্মদ রোশন আলী, সরোয়ার হোসেন বন্দ, আবু দাউদ, আব্দুস সালাম, শফিকুল ইসলাম, হাফেজ আ. লতিফ, মাওলানা ওমর আলী, মোহা. নাজমুস সাকিব, মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষাার, মো. কবির হোসেন হাওলাদার, আবু রায়হান, মো. এনামুল হাসান সাঈদ, মো. গাজী মিজানুর রহমান, গাজী ফেরদাউস সুমন, মাওলানা ইলিয়াস হোসেন, মাওলানা আবু সাঈদ, শেখ মারুফ রহমান, মো. কামরুল ইসলাম, মো. জাহিদুল ইসলাম টুটুল মোড়ল, মো. সাইফুর রহমান, মো. বাদশাহ খান, মো. ইউসুফ আলী, জামিল আহমেদ, মো. আশরাফ আলী, কারী আব্দুস সামাদ, হাফেজ কারীমুল ইসলাম, হাফেজ জাহিদুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল মালেক, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসুম, মো. তরিকুল ইসলাম কাবির, আলফাত হোসেন লিটন, কাজী তোফায়েল, আব্দুস সালাম, মমিনুল ইসলাম নাসিব, মো. শহিদুল ইসলাম সজিব, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের নগর সভাপতি এস এম আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা ইলিয়াছুর রহমান, ইব্রাহিম খান, মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ইসলামী যুব আন্দোলনের নগর সভাপতি মুহা. ইমরান হোসেন মিয়া, জেলা সভাপতি মুফতি ফজলুল হক, সাইফুল্লা খালিদ নাজমুল, মুহা. আব্দুস সবুর, মো. মামুনুর রশিদ, মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নগর সভাপতি মুহা. আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা সভাপতি মো. ফরহাদ মোল্লা, মাহদী হাসান মুন্না, মোহাম্মদ নাঈমুল ইসলাম, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নগর সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আল গালীব, জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম, মো. বনি আমিন, মো. হাবিবুল্লাহ মেসবাহ প্রমুখ।
মোহাম্মদ মিলন/এএমকে