ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বাঞ্ছারামপুর পৌর শহরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী বুধবার (২০ নভেম্বর) বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, অর্থবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, কুমিল্লা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোস্তাক মিয়া, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য এমএ খালেক পিএসসি, অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার, জিয়াউদ্দীন জিয়াসহ বিএনপির অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এই সম্মেলন নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও বাঞ্ছারামপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এমএ খালেক পিএসসি ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মেহেদি হাসান পলাশ সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

সকালে বাঞ্ছারামপুর পৌর শহরের পল্লী বিদ্যুতের মোড় থেকে সাবেক সংসদ সদস্য এমএ খালেক পিএসসি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য রফিক শিকদারের নেতৃত্বে সম্মেলন বিরোধী একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা সদরের মুসা মার্কেট এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় মেহেদি হাসান পলাশের সমর্থকরা মিছিলটি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করার পাশাপাশি দোকানপাটে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। 

বাঞ্ছারমপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, সাবেক এমপি এমএ খালেকের নেতৃত্বে আগামী ২০ নভেম্বর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনকে অবৈধ সম্মেলন বলে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মেহেদি হাসান পলাশের সমর্থকরা তাদের মিছিলে ইট-পাটকেল  নিক্ষেপ করে। এ থেকেই সংঘর্ষের শুরু হয়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মেহেদি হাসান পলাশ বলেন, আমরা সম্মেলনের পক্ষে ছিলাম। কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনায় বাঞ্ছারামপুর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছিল। কিন্তু কেন বা কি কারণে এমএ খালেকসহ তার নেতৃবৃন্দ সম্মেলনের বিরোধিতা করে মিছিল করছিলেন তা আমার বোধগম্য নয়। আমি বিগত দুদিন যাবত ঢাকায় রয়েছি। আমার কোনো লোকজন তাদের মিছিলে আঘাত করেনি। তবে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাম-দা, লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল করেছে। 

এ ঘটনায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান ও সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

মাজহারুল করিম অভি/আরএআর