ফরিদপুরের ভাঙ্গায় রান্নাঘরে খেলতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ইয়াসিন (৩) ও ইসমাইল (৪) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 

রোববার (১৭ নভেম্বর) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা দুজন মারা যায়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের রশিবপুরা গ্রামে এ ঘটে।

ইয়াসিন মুন্সীর বাবা কৃষক আসাদ মুন্সী এবং ইসমাইল মুন্সীর বাবা কৃষক সিদ্দিক মুন্সী। আসাদ মুন্সী ও সিদ্দিক মুন্সী চাচাতো ভাই।

অগ্নিদগ্ধ ওই দুই শিশু বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়। এ দুটি শিশুর মধ্যে ইসমাইল মুন্সির শরীরের ৯০ ভাগ এবং ইয়াসিন মুন্সির শরীরে ৬৮ ভাগ পুড়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার ইসমাইল এবং সোয়া ৯টায় ইয়াসমিন মারা যায় বলে শিশুদের চাচা উজ্জ্বল হোসেন জানান।

অগ্নিদগ্ধ শিশুদের চাচা উজ্জ্বল হোসেন বলেন, রোববার সকালে বাড়িতে কেউ না থাকায়  ইয়াসিন ও ইসমাইল রান্নাঘরে খেলতে ছিল। এ সময় ঘরে অন্য কেউ ছিল না। একপর্যায়ে তারা চুলায় আগুন জ্বালায়। মুহূর্তেই আগুনের শিখা পাটকাঠির বেড়ায় লেগে দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে।
তখন তারা ভয় পেয়ে  ঘরের পাশে গোসলখানায় গিয়ে লুকায়। এদিকে আগুনের শিখা রান্না ঘরের পাশে গোসলখানার বেড়ায় ও লেগে যায়। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে এলাকাবাসী আগুন নিভাতে চেষ্টা করে। কিন্তু তারা তখনো জানতো না, শিশু দুটি গোসলখানার ভেতর রয়েছে। একপর্যায়ে ইয়াসিনের মা কিস্তি দিয়ে ফিরে এসে তার সন্তানদের খুঁজতে গিয়ে দেখে গোসলখানায় দুই শিশু অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। পরে এলাকাবাসী শিশু দুটিকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু দুটির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা বার্ন ইউনিটে স্থনান্তর করেন। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজন মারা গেছে

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের  চিকিৎসক মৌলি চৌধুরী বলেন, অগ্নিদগ্ধ ইয়াসিনের শরীরের ৬৮ ভাগ এবং ইসমাইলের শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল।

জহির হোসেন/আরকে