পবিপ্রবিতে গাঁজা সহ ৫ বহিরাগত মাদকসেবী আটক
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) আবাসিক হল সংলগ্ন রাস্তায় মাদকসেবনরত অবস্থায় বহিরাগত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত সকলকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় এর আবাসিক হল সংলগ্ন রাস্তা থেকে নিরাপত্তা শাখার সদস্যরা তাদের কে আটক করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহাম্মাদ ইমাদুল হক প্রিন্স ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার সদস্যরা মাদকসেবনরত অবস্থায় ৫ জন মাদকসেবীকে হাতেনাতে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে গাঁজা, গাঁজা সেবনের সরঞ্জামাদি, জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী(কনডম) উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের দুমকি গ্রামের বাসিন্দা নাসির খানের ছেলে কে,এম আব্দুল্লাহ(১৬), শ্রীরামপুর ইউনিয়নের জামলা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আবুল কালামের ছেলে মোঃ মুছাব্বির (১৮), আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের জালিশা গ্রামের বাদিন্দা দলিল উদ্দিনে ছেলে মোঃ সৌরভ(১৭), আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের সাতানির গ্রামের বাসিন্দা মোঃ সেলিম হকের ছেলে মোঃ রাফি (১৭) এবং শ্রীরামপুর ইউনিনের দুমকি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ইউনুচ আলী মৃধার ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান(১৭)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান বলেন,'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে। গতকাল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আজকে আমরা ৫ জন কে আটক করেছি। গতকালকেও ২ জনকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। আমাদের এই অভিযান ও তদারকি চলমান থাকার ফলে মাদকের প্রাপ্তি ও সহজলভ্যতা প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পেরেছি। আমাদের এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন,'বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। এই ক্যাম্পাস থেকে মাদক সম্পূর্ণ নির্মূলের জন্য নিরলস কাজ করছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের এই অভিযান ও তদারকি চলমান থাকার ফলে মাদকের যোগান ও সেবনে আমরা অনেকটা কমাতে পেরেছি।”
ভিসি তার বক্তব্যে আরও বলেন, মূল মাদক কারবারিদের আইনের আওতায় আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি, জেলা প্রশাসক ও গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা প্রয়োজন। এসময় তিনি পুরো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাদক সম্পূর্ণভাবে নির্মূলের জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
মোঃ রায়হান/ এসএমডব্লিউ