অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, আপনারা রোডম্যাপ তৈরি করুন। নির্বাচন ছাড়া জাতি অন্য কিছু দেখতে চায় না।

শনিবার(১৬ নভেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের তৃতীয় দিনের খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, শহীদ জিয়ার ঘোষণার মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা শুরু হয়েছিল, অন্য কোনো কারণে নয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেই ইতিহাস পাল্টে দিতে চায়। এই দেশে গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ শেখ মুজিবুর রহমান রাখেননি বলেই ১৫ আগস্ট অনিবার্য ছিল বাংলাদেশের জন্য।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মহান মুক্তিযুদ্ধের রনাঙ্গনে নেতৃত্ব দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল। শেখ মুজিব ক্ষমতায় এসে সেনাবাহিনীকে অস্বীকার করে ভারতীয়দের নিয়ে জলপাই কালারের পোশাকে রক্ষীবাহিনী গড়ে তোলেন। সেই রক্ষীবাহিনী দিয়ে এদেশের প্রগতিশীল ৪০ হাজার বিপ্লবী মেধাবীকে হত্যা করেছিল শেখ মুজিব। এদেশের সব থেকে বড় বিপ্লবী নেতা সিরাজ শিকদারকে হত্যা করে শেখ মুজিব সংসদে বলেছিল "কোথায় সিরাজ শিকদার"?।

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কাউকে হত্যা করে এ দেশের ক্ষমতায় আসেননি। সিপাহী জনতার বিপ্লবে সিপাহী জনতার বিজয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশের সিপাহী জনতা শহীদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসান। এরপর তিনি এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। 

এই বিএনপি নেতা বলেন, আজ দেশের দেড় কোটি মানুষ মধ্যপ্রচ্যের বিভিন্ন দেশে চাকরি করেন। সেই বৈদেশিক শ্রম বাজার জিয়াউর রহমান চালু করেন। ঋণ প্রদানের মাধ্যমে দেশের পোশাক শিল্পও জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করেছেন। যে পোশাক শিল্প আর বৈদেশিক রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতিকে আজ চাঙ্গা করেছে। এসব অবদান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের। সেই ইতিহাস আওয়ামী লীগ বদলে দিতে চায়।

এ সময় বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপ-মন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, লালমনিরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক একেএম মমিনুল হকসহ রংপুর বিভাগের বিএনপির ১০টি সংগঠনিক জেলার নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন। লালমনিরহাট জেলা বিএনপি আয়োজিত এ টুর্নামেন্টে রংপুর বিভাগের ১০টি সাংগঠনিক জেলা বিএনপি অংশ নিচ্ছেন। এ টুর্নামেন্টের প্রতিটি আসরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

নিয়াজ আহমেদ সিপন/আরএআর