বাগেরহাটে ছাত্রশিবির সভাপতি
পলাতক আওয়ামী শক্তিকে এ জাতি আর কোনো দিন গ্রহণ করবে না
পলাতক আওয়ামী শক্তিকে এ জাতি আর কোনো দিন গ্রহণ করবে নাবলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মীর কাশেম আলীসহ জামায়াতের অনুসারী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের জনশক্তিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, কারাগারে হত্যা করা হয়েছে। জুলুম ও নির্যাতনের সর্বোচ্চ স্টিম রোলার চালানো হয়েছে ইসলামী শক্তির ওপর। তারপরও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো জনশক্তি এদেশ থেকে পালায়নি। কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এদেশ থেকে পালিয়েছেন। নেতাকর্মীদের রেখে তিনি পালিয়ে গেছেন। যারা নিজেদের নেতাকর্মী ও কর্মী বাহিনীকে রেখে পালাতে পারে, আর যা-ই হোক পলাতক আওয়ামী শক্তিকে এ জাতি আর কোনো দিন গ্রহণ করবে না।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট স্বাধীনতা উদ্যানে অনুষ্ঠিত বাগেরহাট জেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের জনশক্তি যখন রাজপথে মিছিল দিয়েছে, তখন তাদের গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন নাটক মঞ্চায়িত হতে দেখেছি। পড়ার টেবিল থেকে শিবিরকে পড়ার টেবিলকে গ্রেপ্তার করে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে অসংখ্য নাটক মঞ্চায়িত করেছে। আজকে সেই দিন শেষ নতুন একটি অধ্যায় শুরু হয়েছে। ফ্যাসিবাদী শক্তি ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার সহযোগীরা ইসলামপন্থীদের ওপর অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়ে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রেখেছিল। সেই হাসিনা ও তার সহযোগীদের পাহাড়সম জুলুমের মসনদ ইসলামী ছাত্রশিবির ও এদেশের ছাত্র-জনতা তছনছ করে দিয়েছে। তাদের এদেশ থেকে বিতাড়িত করেছে।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি নাজমুল হাসান সাইফের সভাপতিত্বে কর্মী সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাগেরহাট জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিম, নায়েব আমির অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ, সেক্রেটারি শেখ ইউনুস আলী, সাবেক জেলা আমির মাওলানা মশিউর রহমান খান, শিবিরের কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক সফি উল্লাহ, ঢাকাস্থ বাগেরহাট ফোরামের সভাপতি ডা. আতিয়ার রহমান, শিবিরের জেলা সেক্রেটারি হাফেজ মোর্শেদ আলম প্রমুখ।
এ সময় অধ্যক্ষ আব্দুল আলিম, শেখ মঞ্জুরুল হক্ব ফাহাদ, হাফেজ সুলতান আহমাদ, অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান, শেখ এনামুল কবির, আব্দুল আউয়াল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় ১৬ বছরের বেশি সময় পরে বাগেরহাট জেলায় প্রকাশ্যে অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে বাগেরহাট জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা ছাত্রশিবিরের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
আবু তালেব/আরএআর