ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায় প্রায় ৯ মাস পর উৎপাদন বিভাগে পুনরায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (বিজিডিসিএল) এই সংযোগ চালু করে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা এ কারখানার গ্যাস সংযোগ পুনরায় চালু হওয়ায় সংশ্লিষ্টরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

গ্যাস সংযোগ পাওয়ার পর কারখানা চালুর প্রক্রিয়া শুরু হলেও কবে থেকে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হবে তা নির্ধারিত হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কারখানা বন্ধ থাকার ফলে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার ইউরিয়া উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে কারখানার উৎপাদন বিভাগে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়। এর পর থেকে শ্রমিক-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় গ্যাস সরবরাহের দাবি জানালেও তা পূরণ হয়নি। অবশেষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বিজিডিসিএল শুক্রবার থেকে গ্যাস সরবরাহ পুনরায় শুরু করে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, কারখানা চালু থাকলে দৈনিক ১০০০-১১৫০ টন ইউরিয়া উৎপাদন সম্ভব হতো। এ হিসাবে গত ৯ মাসে ২ লাখ ৬৮ হাজার টন ইউরিয়া উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ৬৭০ কোটি টাকা।

বিজিডিসিএলের ডিজিএম (সঞ্চালন) প্রকৌশলী মো. জাহিদুর রেজা জানিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শুক্রবার সকাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। তবে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার নাথের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

কারখানার সিবিএ নেতারা গ্যাস সংযোগ চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন কারখানা বন্ধ থাকায় ইউরিয়া উৎপাদন শুরু করতে আরও কিছু সময় লাগবে। দৈনিক ৪ কোটি টাকার ইউরিয়া উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কথা উল্লেখ করে তারা দ্রুত উৎপাদন শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন।

গ্যাস সংযোগ পুনঃস্থাপন আশুগঞ্জ সার কারখানার পুনর্জাগরণের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে ধরা হচ্ছে, যা দেশের সার উৎপাদন খাতে নতুন গতিশীলতা আনবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

মাজহারুল করিম অভি/এমজেইউ