চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া আবদুল্লাহ (২৩)। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল বলফিল্ড মাঠে চতুর্থ জানাজা শেষে বেনাপোল পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বড়আঁচড়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে লিখিতভাবে আবদুল্লাহকে শহীদ ঘোষণা করায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

এর আগে সিএমএইচে প্রথম জানাজা, সোহরাওয়ার্দী কলেজে দ্বিতীয় ও জাতীয় শহীদ মিনারে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

আব্দুল্লাহর জানাজায় ইমামতি করেন বেনাপোল জামিয়া ইসলামিয়া ও লতিফা ইয়াছিন এতিমখানার মুহতামিম মুফতি সাইদুল বাশার। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নাজিব হাসান, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক আবদুল মান্নান, যশোর জেলা বিএনপির সদস‍্যসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, শার্শা থানা বিএনপির আহ্বায়ক খাইরুজ্জামান মধু, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসান জহির, শার্শা উপজেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ আশরাফুল আলম বাবু, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা নুরুজ্জামান লিটন, বেনাপোল পৌর বিএনপির সভাপতি নাজিম উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ভারত, যুবদলের শার্শা উপজেলার আহ্বায়ক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম, বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ রাসেল মিয়া, যশোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পিসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান আব্দুল্লাহ।

আবদুল্লাহর বাবা আব্দুল জব্বার পেশায় একজন শ্রমিক। অর্থাভাবে কোনো ছেলে-মেয়েকে লেখাপড়া করাতে পারেননি তিনি। চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন আব্দুল্লাহ। তিনি ঢাকায় বোনের বাসায় থেকে লেখাপড়া করতেন। রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন আবদুল্লাহ।

এমজেইউ