গাজীপুরে দুই পোশাক কারখানার ২০০ শ্রমিককে চাকরিতে পুনর্বহাল
গাজীপুরে চাকরিচ্যুত ২০০ পোশাক শ্রমিককে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে। কারখানা দুটি হচ্ছে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকার এম এম নিটওয়্যার লিমিটেড ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, বিভিন্ন অভিযোগে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল।
জানা গেছে, কারখানায় বিশৃঙ্খলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে গত ৯ নভেম্বর এম এম নিটওয়্যার লিমিটেড এবং মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড ১১৩ জন শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী সব পাওনা পরিশোধ করে চাকরিচ্যুত করা হয়। নিয়মিত শ্রমিকরা দুইদিন শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করার পর তারা সোমবার (১১ নভেম্বর) থেকে হঠাৎ করে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য কর্মবিরতি পালন করেন। তাদের বিক্ষোভ ও আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় দফায় আরও ৭৭ জনকে চাকরিচ্যুত করলে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা শিল্প পুলিশের এক সদস্য ও কারখানার নিরাপত্তা ইনচার্জসহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করেন। পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শ্রমিকদের আন্দোলন ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের সার্ভিস বেনিফিট ফেরত দেওয়ার শর্তে চাকরিতে যোগদানের কথা জানায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন। তবে যারা সার্ভিস বেনিফিট ফেরত দিয়েছে শুধু তারাই চাকরিতে যোগদান করতে পারবেন। যারা সার্ভিস বেনিফিট ফেরত দেননি তাদের বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এম এম নিটওয়্যার লিমিটেডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের মধ্যে যারা সার্ভিস বেনিফিট ফেরত দিয়েছেন শুধু তারা কাজে যোগ দিয়েছেন। যারা সার্ভিস বেনিফিট ফেরত দেননি তারা কাজে যোগদান করেননি।
প্রসঙ্গত, ৩ নভেম্বর হাজিরা বোনাস, নাইট বিল, টিফিন বিলসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে কারখানার অভ্যন্তরে অবস্থান নেন। এ সময় শিল্প পুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বুঝিয়েও কাজে ফেরাতে পারেনি। পরে কারখানার নিরাপত্তার স্বার্থে কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। পরে বিশৃঙ্খলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে দুই দফায় প্রায় ২০০ শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল।
শিহাব খান/এফআরএস