শাহজাদপুরের সাবেক দুই এমপিসহ ৫ জনের নামে চাঁদাবাজি মামলা
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা, তার ছেলে সুমগ্ন করিম ও মেরিনার ভাই একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চয়ন ইসলামসহ পাঁচজনের নামে চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে শাহজাদপুর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করা হয়। শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের শ্রীফলতলা গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে মো. শাহাদৎ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার বাদী শাহাদাৎ শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও শহীদ জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত)।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন- গাড়াদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন নয়ন ও শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. টিপু।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট হোসেন শহীদ সরোয়ারদী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শাহজাদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আশরাফুল আলম বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন
মামলার বাদী মো. শাহাদৎ হোসেন বলেন, ২০২২ সালের ২৫ জুন শ্রীফলতলা এলাকায় ২০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা দিয়ে তিনি অন্যের জমি ভাড়া নেই। সেখানে ১ কোটি ৮০ হাজার টাকার ৯০ লাখ সেফটি ড্রেজারের বালু কিনে বিক্রি করছিলাম। এ অবস্থায় ২০২২ সালের ২৬ জুন আসামিরা তাতে বাঁধা দেন এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা আমাকে ধরে নিয়ে মারধর করেন ও হত্যার হুমকি দিয়ে তারা সবকিছু নিজেদের দখলে নিয়ে নেন। এতে আমার ২ কোটি ২৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেছি।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা ও চয়ন ইসলামকে একাধিকবার ফোন কারার চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
শুভ কুমার ঘোষ/এফআরএস