ভারতকে বন্ধু বলা যাবে না : হারুনুর রশীদ
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশীদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ভারতের গোলাম। তারা বলতো ভারতের সঙ্গে তাদের নাকি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। আর অন্যদিকে বাংলাদেশের মানুষ ৭১ এ মুক্তিযোদ্ধ করে, জীবন দিয়ে এই মানচিত্র ও পতাকা সৃষ্টি করেছি। ভারতের গোলামী করার জন্য নয়। পাকিস্তানকে হটিয়েছিলাম ভারতের পকেটের মধ্যে যাওয়ার জন্য নয়। শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছে, আর তার চোরেরা ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। সুতরাং ভারতকে বন্ধু বলা যাবে না
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরঅনুপনগর ইউনিয়নের অনুপনগর হাই স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে নির্বাচন ও সংস্কারের রোড ম্যাপের দাবিতে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
হারুনুর রশীদ বলেন, ভারত সরকারকে বলবো যদি বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে চান তাহলে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিতে হবে। আর যে সকল এমপি-মন্ত্রীরা ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে তাদেরকেও ফিরিয়ে দিতে হবে। এছাড়া ভারত এখনো বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। তাদের বিভিন্ন মিডিয়া ও চ্যানেল দেশ বিরোধী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এটা বন্ধ করতে হবে। আমরা কারো দয়া দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করিনি বরং যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। তাই কেউ যদি ভেবে থাকে বাংলাদেশকে শাসন করব, শোষণ করব, তাহলে এটি বাংলাদেশের জনগণ মেনে নেবে না।
তিনি আরও বলেন, দেশে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে এবং গত ১৫ বছর অসংখ্য মানুষকে গুম, বিনা বিচারের হত্যা ও মিথ্যা মামলায় জেল খাটতে হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে জুলাই-আগস্টের গণবিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশ আবারও স্বাধীন হয়েছে। আর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দুপুরের খাবারটা পর্যন্ত খেয়ে যেতে পারেনি। তার পুকুরের মাছ, আসবাবপত্র, হরিণ সব কিছু ছাত্র-জনতা নিয়ে চলে গেছে।
ভারত থেকে শেখ হাসিনার অডিও বার্তার সমালোচনা করে এই বিএনপি নেতা বলেন, শেখ হাসিনা ভারত থেকে উসকানি দিচ্ছে এবং তার কর্মীদের জাগানোর চেষ্টা করছে। তার বোকা কর্মীরা একটা দুইটা রাস্তায় বের হচ্ছে আর পুলিশ তাদেরকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে শেখ হাসিনা ভারতে বসবাস করছে পাসপোর্ট বিহীন অবস্থায়। সে সেখানে ট্রাভেল পাস নিয়ে অবস্থান করছে। এটিই হচ্ছে দুনিয়াতে জালিমের শাস্তি।
আওয়ামী লীগ সরকারের ভোট কারচুপির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমি ৯৬ সাল থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছি। কেউ কখনো বলতে পারবে না ভোট কারচুপি বা ভোটের বাক্স ছিনিয়ে এমপি হয়েছি। আর তারা এমপি ভোট তো দূরে থাক ইউপি, পৌরসভা ও উপজেলার ভোট পর্যন্ত কারচুপি করেছে। তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দিয়েছে। বিচার ব্যবস্থাকেও তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার মতো তিন বারের প্রধানমন্ত্রীকেও এই হায়েনা সরকার চিকিৎসা করার সুযোগ পর্যন্ত দেয়নি।
চরঅনুপনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোজাহিদুর রহমান বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক তসিকুল ইসলাম তসি, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক তাবিউল ইসলাম তারিফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামিউল হক সোহেল, সদর উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আ.ক.ম শাহিদুল আলম বিশ্বাস পলাশ, তাঁতী দলের জেলা সভাপতি আতাউর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সারোয়ার জাহান, সাবেক সহ-সভাপতি মীম ফজলে আজিম প্রমুখ।
আশিক আলী/আরএআর