বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়া দুইজনের মরদেহ দাফনের তিন মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ও দুপুরে পৃথক স্থান থেকে আদালতের আদেশে ময়নাতদন্তের জন্য এই মরদেহ দুটি উত্তোলন করে পুলিশ।

এর মধ্যে ময়মনসিংহ নগরীর ভাটিকাশর কবরস্থান থেকে এদিন দুপুরে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর উত্তরার আজমপুর রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মাহিনের (১৯) মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়।

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আল ইমরানের উপস্থিতিতে দাফনের ৩ মাস ৭ দিন পর মাহিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

এর আগে, গত ২১ আগস্ট মাহিনের বাবা জামিল হোসেন বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের নামে ও অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ৬০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে।

জানা যায়, নিহত মাহিন ময়মনসিংহ নগরীর বাসিন্দা জামিল হোসেন ও সামিরা জাহান দম্পতির একমাত্র সন্তান। সে উত্তরা দিয়াবাড়ি মডেল হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এনআইইটি) ভর্তি হয়েছিল।

এ ছাড়াও এদিন সকালে নগরীর কালীবাড়ি কবরস্থান থেকে পোশাককর্মী নাজমুল ইসলাম রাজুর (৩৯) মরদেহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম নাজমুস ছালেহীনের উপস্থিতিতে দাফনের তিন মাস ছয় দিন পর উত্তোলন করা হয়।

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের খবরে আনন্দ মিছিলে অংশ নিতে গিয়ে উত্তরা পূর্ব থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় নাজমুল।

এ ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট তার ছোট ভাই রেজাউল বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৮৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।

নিহত নাজমুল ইসলাম রাজু ময়মনসিংহ নগরের সেহরা মুন্সিবাড়ি এলাকা মৃত নিলু মিয়ার ছেলে। তার মায়ের নাম মোছা. সাজেদা। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে বড় ছিলেন নাজমুল।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম খান বলেন, আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি উত্তোলন করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মো. আমান উল্লাহ আকন্দ/এএমকে