সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের (৬) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১০ নভেম্বর) বাদ আসর জানাজার নামাজ শেষে বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে শিশুটির দাফন সম্পন্ন করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে সিলেট জেলা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন—মৃত ময়না মিয়ার স্ত্রী আলিফজান (৫৫) ও তার মেয়ে শামীমা বেগম ও মামুনুর রশিদের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫)। তারা সবাই কানাইঘাট থানার বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের বাসিন্দা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল ঢাকা পোস্টকে বলেন, কানাইঘাট থানা পুলিশ নিখোঁজ মুনতাহা আক্তার জেরিনকে (৬) অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশের প্রচলিত আইনে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তাদের বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এদিকে, শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন (৬) হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে রোববার দুপুরে ঘাতক গৃহশিক্ষিকা শামিমা আক্তার মার্জিয়াসহ তাদের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন স্থানীয় লোকজন।

প্রসঙ্গত, মুনতাহা কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে। গত ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সঙ্গে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরে শিশু মুনতাহা। দুপুরের দিকে বাড়ির পাশে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। কিন্তু বিকেলে বাড়ি না ফিরলে তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তাকে পাননি। পরে রোববার ভোররাতে মুনতাহার বাড়ির পাশের একটি খাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করে পুলিশ।

মাসুদ আহমদ রনি/এএমকে