ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় দুইজন গ্রেপ্তার
রাজবাড়ীর কালুখালীতে স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে (৩০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন।
বিজ্ঞাপন
নিহত ওই নারীর ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। কিন্তু প্রায় পাঁচ-ছয় বছর যাবত তিনি স্বামী পরিত্যক্তা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মাদুলিয়া গ্রামের মৃত জব্বার মন্ডলের ছেলে মোনছের মন্ডল (৩৮) ও একই উপজেলার গোনাবাড়ি বনগ্রাম এলাকার মৃত হাসেম মিয়ার ছেলে আমিন মিয়া (৩৬)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন বলেন, গত ২৫ অক্টোবর কালুখালী থানার মোহনপুর বিল-সংলগ্ন ধানক্ষেতে আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী এক অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত মরদেহ পাওয়া যায়। এ-সংক্রান্তে কালুখালী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। এরপর মামলার ঘটনা তদন্তে থানা পুলিশ ও ডিবির সমন্বয়ে একাধিক টিম মাঠে নামে।
একপর্যায়ে গত ৮ নভেম্বর ওই বিল-সংলগ্ন ধানক্ষেত থেকে ১টি ভ্যানিটি ব্যাগ, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য জিনিস পাওয়া যায়। প্রাপ্ত জিনিসপত্র বিশ্লেষণ করে জানা যায়, এগুলো ধানক্ষেতে পড়ে থাকা অজ্ঞাতনামা মৃত ওই নারীর। পরে আমরা তার পরিচয় শনাক্ত করি। পরবর্তীতে তার বাবা বাদী হয়ে গত ৯ নভেম্বর কালুখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে তথ্য-উপাত্ত, তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণপূর্বক জেলা গোয়েন্দা শাখা ও কালুখালী থানার একটি যৌথ টিম অভিযান চালিয়ে পাংশা থানা এলাকা থেকে তদন্তে প্রাপ্ত আসামি আমিন ও মোনছেরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে গত ১৮ অক্টোবর টাঙ্গাইল থেকে তাকে পাংশায় ডেকে নিয়ে এসে গ্রেপ্তারকৃত দুইজনসহ মোট তিনজন তাকে ধর্ষণ করে এবং পরে হত্যা করে মরদেহ গুম করে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামি আমিন ও মোনছেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে আমিন মিয়া ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং মোনছেরকে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ ঘটনার অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এএমকে