স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি, নাহলে বৃহৎ কর্মসূচি
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদসহ অন্যান্য হত্যা মামলার আসামিরা প্রশাসনের ছত্রছায়ায় আত্মগোপনে আছে বলে অভিযোগ করেছেন রংপুরের ছাত্র-জনতা। এ কারণে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তাদের।
রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর লালবাগ এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। এতে রংপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বৈরাচার দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
তারা আরও বলেন, আসামিদের এখনো আইনের আওতায় না আনার বিষয়টি প্রমাণ করে তারা প্রশাসনের ছত্রছায়ায় আছে। প্রশাসনের মাঝে ঘাপটি মেরে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের খুঁজে বের করে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার জোর দাবি করা হয়। দাবি আদায় না হলে বৃহৎ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিনিধিরা বলেন, সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণে ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছে। এখন বাকি আওয়ামী লীগ, কারণ গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তাদের নেতারা দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র তারা বন্ধ করেনি। পতিত আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দিক থেকে দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা কূলকিনারা খুঁজে না পেয়ে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি ঝুলিয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। চোরাগোপ্তা পথে ট্রাম্প বা মোদিকে নিয়ে ফ্যাসিবাদ, গণহত্যা ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা এবং তার দলের পুনর্বাসিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আবু সাঈদ-মুগ্ধদের স্বপ্ন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে বাংলার ছাত্র-জনতা জেগে আছে এবং থাকবে।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের সমন্বয়ক ইমরান আহমেদ, নাহিদ হাসান খন্দকার, মোতাওয়াক্কীল বিল্লাহ শাহ ফকির, ইয়াসির আরাফাত, ইমতিয়াজ ইমতি, ডা. জামিল, সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ