নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদী-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এফবি আব্দুল কাদের-২ নামের একটি ট্রলারে ধরা পড়েছে ৯০টি বিশাল আকারের পাঙাশ মাছ। এসব মাছ নিলামে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পেরে উচ্ছ্বসিত জেলেরা। তবে আশানুরূপ মাছ না পাওয়ায় ঋণের চাপে পড়ার সম্ভাবনায় রয়েছে বলে জানান তারা।

রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের সাদিয়া ফিশ এজেন্সি নিলামে এসব পাঙাশ বিক্রি করে।

জানা যায়, মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ৩ নভেম্বর রাতে হাতিয়া থেকে ১৭ জন জেলে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে যায় এফবি আব্দুল কাদের-২ নামের একটি মাছের ট্রলার। তারপর বঙ্গোপসাগরে জালেদের জালে অন্যান্য মাছের সঙ্গে ৯০টি পাঙাশ ধরা পড়ে। রোববার সকালের দিকে তারা হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটে আসেন। তারা রোববার দুপুরে চেয়ারম্যান ঘাটের সাদিয়া ফিশ এজেন্সি এসব পাঙাশ মাছ নিলামে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।

এফবি আব্দুল কাদের-২ ট্রলারের জেলে আলাউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ১৭ জন জেলে হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়ন থেকে মাছ ধরতে নেমেছি।  ছয় দিনে ৯০টা পাঙাশ মাছ ধরতে পেরেছি। তবে মাছ অনেক কম তাই আমাদের লোকসান আসবে। সাগরে মাছ কম তাই বেশিরভাগ জেলেই ঘাটে চলে আসছে।

সাদিয়া ফিশ এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মো. সালাউদ্দিন বাবু ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই ট্রলার গত বছর এমন দিনে ৩০০ পাঙাশ নিয়ে ফিরেছে। যা ৮ লাখ টাকা বিক্রি করেছে। এবার ৭ দিন সাগরে থেকে মাত্র ৯০ পিস পেয়েছে। যা নিলামে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। যে টাকার খাদ্য তেল নিয়ে বাজারে গিয়েছে সে টাকার মাছও পায়নি। মালিকের প্রায় আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা লস আসবে।

হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমাদের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় মা ইলিশ রক্ষায় নিয়মিত অভিযান ছিল। যারা আইন অমান্য করেছে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানাও করা হয়েছে। আমি মনে করি যেকোনো অভিযান সফল হলে মাছের প্রাচুর্য বৃদ্ধি পায়। বিশাল বিশাল পাঙাশ পাওয়া সত্যিই আনন্দের। তবে সামনে আরও মাছ পাওয়া যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

হাসিব আল আমিন/এএমকে