ফিরছেন ভারতীয়রা
আবারও চার লেন প্রকল্পের কাজ শুরু
অবশেষে দীর্ঘসময় পর আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন মহাসড়কের অবশিষ্ট নির্মাণকাজ আবারও শুরু হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে নাভিশ্বাস করে তোলা চার লেন প্রকল্প নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটতে শুরু করেছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) পুরোদিনই মহাসড়কে নির্মাণকাজ চলতে দেখা গেছে।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রকল্পে নিয়োজিত ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ দেশে চলে যাওয়ায় বন্ধ ছিল নির্মাণকাজ। ফলে আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্প নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
শুধু তাই নয়, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় খানাখন্দের কারণে যান চলাচলে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল। বিশ্বরোড মোড়ে প্রায় প্রতিদিনই তীব্র যানজট লেগেই থাকে। শহরের ফুলবাড়িয়া থেকে পুনিয়াউট পর্যন্ত ওভারপাসটির পিলারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নিচের মহাসড়কে খানাখন্দের কারণে এই সড়ক ব্যবহার না করে শহরের ভেতর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করছে। এতে জনদুর্ভোগ বেড়েই চলে।
আরও পড়ুন
প্রায় ৩ মাস বন্ধ থাকার পর মহাসড়কের অবশিষ্ট নির্মাণকাজ আবারও শুরু হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে সাধারণ জনগণ। তাছাড়া প্রকল্পটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যারা এখনও ভারতে আছেন, তারাও ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করেছেন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন প্রকল্পের অধীনে থাকায় মহাসড়কটিতে নিয়মিত সংস্কার কাজ হয়নি। ফলে অন্তত ৪ কিলোমিটার অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। গত অক্টোরের শেষ সপ্তাহ থেকে প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভারত থেকে ফিরতে শুরু করায় বেহাল অংশের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে।
চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. শামীম আহমেদ বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ৩০ জন ভারতীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রকল্প এলাকায় ফিরেছেন। আপাপত সংস্কার কাজ চলছে। সংস্কার কাজ শেষ করে পাথরসহ অন্যান্য উপকরণ আমদানির পর মহাসড়কের অবশিষ্ট অংশের নির্মাণকাজ পুরোদমে শুরু হবে। সেক্ষেত্রে প্রকল্পের মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে।
প্রসঙ্গত, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৫১ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ২০১৭ সালে একনেকে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয় বিগত সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বাজেট ধরা হয় ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। করোনা মহামারিসহ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে প্রকল্পের কাজ দেরি হয়। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৫৫ শতাংশ।
মাজহারুল করিম অভি/আরকে